৫ম বছরে অভিযাত্রিক ব্লাড ব্যাংক

আজাদী অনলাইন | বৃহস্পতিবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৭:০৫ অপরাহ্ণ

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে আজ ৫ বছর পা রাখলো রক্ত সেবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‌অভিযাত্রিক ব্লাড ব্যাংক। একদল মানবতাবাদী সেচ্ছাসেবীর দীর্ঘদিনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে গড়ে ওঠে সংগঠনটি। শুরুতে এটি বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম থেকে কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে এর কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে দেশের ১৩ টি জেলা ও ২ টি স্বায়ত্ত শাসিত বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি কলেজে।

ইতিমধ্যে আরও ৭ টি জেলা ও ১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া দেশের বাহিরে থেকেও দেশের মানুষের কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে অভিযাত্রিক প্রবাসী ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। বর্তমানে এই সংগঠনে নিবন্ধিত সদস্য আছে ১১০০ জন, এছাড়া অনিবন্ধিত সহযোগী সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রায় বার শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। দিনে দিনে তাদের সেবার পরিসর আরও বিস্তৃত হচ্ছে।

প্রধানত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারের চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে অনলাইনে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও সংগঠনের নিয়মিত মাসিক সাধারণ সভা, কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং ও স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।

শুরুতে রক্তদান ও রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার মধ্যে সংগঠনের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমান সমাজ বাস্তবতা ও প্রয়োজনের তাগিদে সংগঠনের বিভিন্ন শাখায় বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সংগঠনের বিভিন্ন শাখায় অসহায় মানুষের সেবা ও সমাজ উন্নয়নের লক্ষ্যে যেসব কার্যক্রম পালন করে থাকে- ১. দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের জন্য বিনামূল্যে রক্তদান করা এবং রক্তদানে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের রক্তের গ্রুপসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেস প্রস্তুত করা। ২. শীতকালে দুঃস্থ, দরিদ্র ও শীতার্ত ব্যক্তিদের মাঝে শীতের কম্বল ও চাদর বিতরণ করা এবং ঈদের সময় দরিদ্র ও ছিন্নমূল পথ শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন জামা বিতরণ করা।

৩. ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বন্যা, খরা ও নদীভাঙ্গন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় জনগণের মাঝে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা। ৪. শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ও ঝরে পড়া শিশুদেরকে শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করা, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশনি, লজিং ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা। ৫. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপন করা এবং বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিয়ানমারে ফেসবুক বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ১১ ফেব্রুয়ারি শপথ নেবেন নবনির্বাচিত সিটি মেয়র