সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এক কন্টেনার এ-ফোর সাইজের কাগজ আমদানির ঘোষণা দেয় নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান করিম ট্রেডিং। কিন্তু আমদানিকারক কাগজের জায়গায় সিগারেট আমদানির মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা।
এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান করিম ট্রেডিং মিথ্যা ঘোষণায় আনা সিগারেটের চালানটি খালাসের জন্য গত ৪ তারিখ কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি (নম্বর সি-২২১১৮৬) দাখিল করে। চালানটি খালাসে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল সুরমা এন্টারপ্রাইজ। পরবর্তীতে গত ১৪ তারিখ রোববার নিয়ম অনুযায়ী পণ্য পরীক্ষা করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর টিম। কায়িক পরীক্ষায় দেখা যায়, ৪৮টি পলিথিনে মোড়ানো প্যালেটের প্রতিটিতে ৪৮টি কার্টন রয়েছে, যার উপরের স্তরের ১২টি কার্টনে শুধুই কাগজ এবং পরবর্তী ৩৬ কার্টন খুলে উপরে এক রিম এ-ফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায়। কাগজের নিচে আলাদা অন্য একটি কার্টনে পাওয়া যায় অভিনব কায়দায় লুকানো সিগারেট। কন্টেনারের প্রথম আটটি প্যালেটে ছিল শুধুই কাগজ এবং নবম প্যালেট থেকে পরবর্তী ৪৮টি প্যালেটে পাওয়া যায় লুকানো সিগারেট। গত রোববাবর দিবাগত রাত আনুমানিক ২টায় শেষ হওয়া পরীক্ষায় ৪৬ লাখ শলাকা সিগারেট পাওয়া যায়। এছাড়া এ-ফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায় ১৪ টন। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার। এ সময় তিনি দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
জানতে চাইলে কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (এআইআর শাখা) রেজাউল করিম ক জানান, কন্টেনারের সামনের দিকে রাখা সুসজ্জিত কাগজ দেখিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। ভেতরের পণ্য বের করার জন্য সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিকে অনুরোধ করলে তারা গড়িমসি শুরু করে এবং একপর্যায়ে কায়িক পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য পাল্টা অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে কাস্টম কমিশনারের নির্দেশে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, বন্দর ও সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রাতেই পণ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয় এআইআর শাখা। এ ঘটনায় কাস্টমস আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।