একে একে ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো শেষ হয়নি আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের কাজ। ৪র্থ বারের মতো আরেক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম থেকে আগরতলা-ত্রিপুরায় সরাসরি চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যাবে পণ্যবাহী কন্টেনার। এতে চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের সাথে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগে নতুন মাত্রা যোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন পথ উন্মোচিত হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যাওয়া কন্টেনারগুলো ভারতের নিশ্চিন্তপুর স্টেশনের পাশে ওঠানামার জন্য ইয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রেনে করে আসা কন্টেনার এখানে নামানো হবে। এরপর সড়কপথ ধরে এবং ভারতীয় ট্রেনে করে পণ্যগুলো ভারতের উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন স্থানে যাবে। জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর প্রকল্প সংশোধনে সময় বাড়ে ২০২২ সালের জুন নাগাদ। এ মেয়াদেও প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। এবার চতুর্থবারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, ব্যয় ব্যতিরেকে জুন ২০২৩ সাল নাগাদ প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ৬১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। করোনার কারণে কাজ ২ বছর আটকে ছিল। ওই সময় রেলের স্লিপার ও পাথর আসতে পারেনি। ওয়ার্কাররা কাজ করতে পারেনি। পরামর্শক ও ঠিকাদার সবাই ইন্ডিয়ান। তারা কেউ আসেনি।
প্রসঙ্গত, প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।