কক্সবাজারের চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজের ৩৮ ঘণ্টা পর একইস্থান থেকে ভেসে উঠেছে জেলের লাশ। লাশের সন্ধানে ইতোমধ্যে স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না।
সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ডুবুরী দল এসেও তল্লাশি চালায় নদীতে। কিন্তু কোন কিনারা করতে পারছিলেন না তারা। ঠিক সাড়ে ৯টার দিকে নিখোঁজের স্থান থেকেই ‘অলৌকিকভাবে’ ওই জেলের মরদেহ সোজা হয়ে ভেসে উঠে। এর পর পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
মাতামুহুরী নদীর পালাকাটা-রামপুর রাবার ড্যামের কাছে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নৌকা নিয়ে দুই জেলে মাছ ধরতে নামলে তীব্র স্রোতের তোড়ে পড়ে নৌকাটি ডুবে যায় নদীতে। এতে দুইজনই নদীতে তলিয়ে গেলে আধঘণ্টা পর একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু অপরজন নিখোঁজ পাওয়া যায়নি।
নিহত জেলের নাম গিয়াস উদ্দিন (৫৫)। তিনি উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ব্লকের সিরাজ আহমদের ছেলে। নৌকা ডুবির পর পরই জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলের নাম নুরুল আবচার (৪০)।
পালাকাটা রাবার ড্যামের কেয়ার টেকার আব্দুর রহিম বলেন, ‘রাবার ড্যামের কাছে নৌকাডুবি ও এক জেলে নিখোঁজ থাকার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজকে জানানো হয়। এর পর ইউএনও ফায়ার সার্ভিসে খবর পৌঁছান। তারা ব্যর্থ হলে চট্টগ্রাম থেকে ডুবুরীদলও আনা হয়। তবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অলৌকিকভাবে শিরদাঁড়া সোজা এবং দাঁড়ানো অবস্থায় নিখোঁজ জেলে গিয়াসের লাশ ভেসে উঠে নদীতে।’
চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, নিখোঁজ জেলের লাশ ভেসে উঠার পর তা উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বিকেলে।