বাঁশখালীর সাধনপুরে ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় ডাক্তার এবং আইওস ৩৪ সাক্ষীর প্রতি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চট্টগ্রামের এসপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের ৩য় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম শফিকুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালত কর্তৃক বারবার হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হলেও সাক্ষীরা আদালতে হাজির হয়নি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবেদন জানানো হলে বিচারক পরোয়ানা জারিসহ এসপিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের এই নির্দেশ দেন এবং আগামী ৬ মার্চ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
তিনি বলেন, এই মামলার চার্জশিট অনুযায়ী মোট সাক্ষী ৫৭ জন। এর মধ্যে ২৩ জন সাক্ষী ইতোমধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর গ্রামের শীল পাড়ায় তেজেন্দ্র লাল শীলের ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে গান পাউডার ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আগুনে পুড়ে একই পরিবারের নারী–শিশুসহ ১১ জন মারা যান। তারা হলেন তেজেন্দ্র লাল শীল (৭০), তার স্ত্রী বকুল শীল (৬০), ছেলে অনিল শীল (৪০), অনিলের স্ত্রী স্মৃতি শীল (৩২), অনিলের তিন সন্তান রুমি শীল (১২), সোনিয়া শীল (৭), চার দিন বয়সী কার্তিক শীল, তেজেন্দ্র শীলের ভাইয়ের মেয়ে বাবুটি শীল (২৫), প্রসাদি শীল (১৭), অ্যানি শীল (৭) এবং কঙবাজার থেকে বেড়াতে যাওয়া আত্মীয় দেবেন্দ্র শীল (৭২)। এ ঘটনায় তেজেন্দ্র শীলের ছেলে বিমল শীল মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত সূত্র জানায়, তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার হ্লা চিং প্রু চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ডাকাতির উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগ, খুন ও লুটতরাজের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। মামলায় ৩৮ আসামির মধ্যে একজন কারাগারে, জামিনে আছেন ১৮ জন। বাকি ১৯ জন পলাতক।