পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস) মোহাম্মদ কাইছের ২৮ জন সমর্থকের বিরুদ্ধে এজাহারনামীয় ও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ, প্রার্থীর গাড়িতে হামলার অভিযোগে থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাসেমের ছোঁ ভাই ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস চৌধুরী অপু বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইছের কর্মী-সমর্থকেরা গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নয়াহাঁ বাজারে মিছিল বের করেন। এ সময় বিনা উস্কানিতে কাইছের কর্মীরা নৌকা প্রতীক প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। একটি প্রাইভেট কার ও মোঁর সাইকেলও ভাংচুর করে। এ সময় তারা নির্বাচনী অফিসের পোস্টার, ব্যানার ও কাপড়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পরে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং তারা আনারস প্রতীকের স্লোগান দিতে দিতে বুধপুরা বাজারের দিকে চলে যায়। স্থানীয় সাধারণ লোকজন ও নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ কাইছ পটিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তা গ্রহণ না করার দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিনা উস্কানিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমার ভাগিনার একটি মোঁরসাইকেল জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং আরেকটি মোঁরসাইকেল ভাংচুর করেছে। তারা হামলা চালিয়ে আমার কর্মী সমর্থকদের আহত করেছে। অথচ উল্টো তারা আমাদের দায়ী করে মামলা করেছে। আসামি করা হয়েছে আমার সমর্থনকারী ও প্রস্তাবকারীসহ ২৮ জনকে। আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, প্রার্থীর ক্যাম্পে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। কাইছের অভিযোগ গ্রহণ না করার বিষয়ে তিনি জানান, তদন্তের উপর ভিত্তি করে এ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।