২২ মাসে নিষ্পত্তি ২২শ মামলা

চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বিচারাধীন ছিল ৪ হাজার ৭শ ২৬ মামলা। সেখান থেকে পরের বছরের অক্টোবর পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয় ২২শ ৪১ মামলা। মাত্র ২২ মাসেই বিপুল পরিমাণ এ মামলা নিষ্পত্তি করেছে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত। গড় হিসেবে দেখা যায়, উক্ত সময়ে প্রতি মাসে ১০১টিরও বেশি এবং দৈনিক হিসেবে তিনটির বেশি মামলা নিষ্পত্তি করেছে খেলাপী ঋণ আদায়কারী এ আদালত। আদালত প্রদত্ত একটি বিবৃতিতে উঠে এসেছে এ তথ্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে পরের বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে ১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা খেলাপী ঋণ আদায় করা হয়েছে। কোর্ট ফি আদায় হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, বর্তমান অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর যোগদান করেন। এরপর থেকেই মামলা নিষ্পত্তিতে তিনি মনযোগী হয়ে উঠেন। খেলাপী ঋণ আদায়ে বন্ধকি সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগ করেন। ফলে দায়িকরা মামলা নিষ্পত্তিতে এগিয়ে আসে। এছাড়া জামানত বিহীন ঋণ খেলাপীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও বিপুল পরিমাণ খেলাপী ঋণ আদায়ে ভূমিকা রেখেছে। উনার সময়ে খেলাপীদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আটকাদেশসহ মোট ১ হাজার ৯৬৮টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

বেঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এত কম সময়ের মধ্যে এত বিপুল পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তির ঘটনা এর আগে ঘটেনি। খেলাপী ঋণ আদায়ের পরিমাণও রেকর্ড। তবে নতুন মামলা দায়েরের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তিনি বলেন, এত পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তির পরও ২০২২ এর অক্টোবরে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮৫০টি।

আদালতসত্র জানায়, বিপুল পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তি ও ঋণ আদায় করতে গিয়ে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করে আদালত। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল- বন্ধকি সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগ, আটকাদেশসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের শোকজ করা। এছাড়া ২০ বছরের পুরনো অর্থঋণ জারি মামলায় দায়িকদের বিরুদ্ধে ১০ থেকে ১২ বছর পূর্বে ইস্যুকৃত দেওয়ানি আটকাদেশ তামিল না হওয়ায় দায়িকদের সর্বশেষ আবাসিক ঠিকানা দাখিল করতে ডিক্রিদারকে নির্দেশ দেয়া হয়, ব্যর্থতায় মামলা খারিজ হবে মর্মে সতর্ক করা হয়। এর ফলে ডিক্রিদার ব্যাংকগুলো ২০ থেকে ৩০ বছরের পুরনো জারি মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে তৎপর হয়ে উঠে। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী নভেম্বরের মধ্যে ২০ বছরের অধিক বয়সী অধিকাংশ অর্থঋণ জারি মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।

অর্থঋণ আদালতের পেশকার বলেন, গত অক্টোবর থেকে বর্তমান সময়ের মধ্যেও বিপুল পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। আদায় হয়েছে বিপুল পরিমাণ খেলাপী ঋণও।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিষেক বাংলাদেশের মেয়েদের
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ল ৭ বসতঘর