২০ সেকেন্ডেই চুরি মোটরসাইকেল

নিয়ন্ত্রণ কুমিল্লা থেকে, গ্রেপ্তার ৫

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

‘জাত অপরাধী’ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হান্নান। গাড়ি চুরি থেকে ডাকাতি, এমন কোন অপরাধ নেই যা সে করে না। বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে এ পর্যন্ত। অপরাধের ধরন অনুযায়ি গ্রুপ তৈরি করে। সেই গ্রুপ কাজ করে মালামাল জমা দেয় তার কাছে। নগরীতে দুটি মোটরসাইকেল চুরির তদন্ত করতে গিয়ে হালিশহর থানা পুলিশ হান্নানের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপের সন্ধান পায়, যারা শুধু গাড়িই চুরি করে। এ গ্রুপের প্রথম পছন্দ মোটরসাইকেল। তবে সুবিধা মতো অন্য গাড়িও চুরি করে তারা। নগরীর হালিশহর, সীতাকুণ্ড ও কুমিল্লার দুটি এলাকায় টানা তিন দিনের অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় এ গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে। উদ্ধার করা হয় নয়টি মোটরসাইকেল।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী আজাদীকে বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অন্য একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আলমগীরকে আমরা গ্রেপ্তার করি। এর আগে হালিশহর এলাকায় পৃথক দুটি স্থানে মোটরসাইকেল চুরির সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের কাছে ছিল। হঠাৎ মনে হয় আলমগীরের চেহারার সাথে ফুটেজে থাকা দুইজনের মধ্যে একজনের চেহারার মিল আছে। আটক আলমগীর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করে যে সে মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িত। ফুটেজে থাকা পাশের জনের বিষয়েও জানায় সে। তার তথ্য অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয় সহযোগী নাহিদকে। উদ্ধার হয় একটি মোটরসাইকেল। তাদের ধরার পরই বেরিয়ে আসে দেশজুড়ে মোটরসাইকেল চুরির শক্তিশালী চক্রটির চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চক্রের আরও তিনজন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় নয়টি চোরাই মোটরসাইকেল। গ্রেপ্তাররা হল হালিশহর এলাকার মো. আলমগীর (৩৭), মো. নাহিদুল ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০), কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকার মো. মান্নান (৩৫), চৌদ্দগ্রাম এলাকার মো. বাবুল মিয়া এবং সীতাকুণ্ডের আব্দুল মালেক ওরফে সোহাগ (২৫)। এর মধ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থেকে ৩টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয় মান্নানকে। একই সময়ে ৪টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ পুলিশের জালে ধরা পড়ে বাবলু মিয়া। ২৫ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে আরও একটি মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয় সোহাগকে। আলমগীর জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পরিবহনের চালক-সহকারীর পরিচয়ে তারা চট্টগ্রাম শহরে ঘর ভাড়া নেয়। দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাসার নিচে রাখা মোটরসাইকেলের তথ্য সংগ্রহ করে। সুযোগ বুঝে মাত্র ২০ সেকেন্ডে চুরি করে মোটরসাইকেল। এর মধ্যে প্রথম ১০ সেকেন্ড লাগে মোটর সাইকেলের লক ভাঙতে আর বাকি ১০ সেকেন্ড সময় লাগে চাবির তার ছিঁড়ে জোড়া দিয়ে গাড়ি চালু করতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে ভুয়া গোয়েন্দা গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধড. জামাল নজরুল ইসলামকে স্মরণ