২০ দলীয় জোটের নেতৃত্ব নিয়ে চিন্তিত শরীক দল কল্যাণ পার্টি

নগরে ২০২ সদস্যের কমিটি

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্ব নিয়ে চিন্তিত জোটের শরীক দল বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক)। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জোট গঠন হয়েছিল। এখন তিনি অসুস্থ ও বন্দী। তাই নতুন ধারায় জোটের নেতৃত্ব নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে। রাজপথে ও রাজপথের বাইরে কিভাবে আগানো যায় চিন্তা করতে হচ্ছে।
গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি চট্টগ্রাম মহানগরের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অধিবেশন থেকে অ্যাডভোকেট এম. এন মোস্তফা নূরকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট মামুন জোয়ার্দ্দারকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০২ সদস্য বিশিষ্ট কল্যাণ পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ঘোষণা করেন দলের চেয়ারম্যান। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল বিএনপি’র নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ১৮ দলীয় জোট। এ জোটে ছিল কল্যাণ পার্টি। পরে এতে আরো দুটি রাজনৈতিক দল যোগ দেয়। গতকাল শরীক দল বিএনপি প্রসঙ্গে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ২০ দলীয় জোট থাকবে কী থাকবে না জানি না। আমরা থাকার পক্ষে। কল্যাণ পার্টি সবসময় বিশ্বাস করে, সকলে মিলে চলুন। বিএনপি’র সঙ্গে এখনো আছি। থাকব। আমরা সবাই মিলে আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে চাই। কিন্তু প্রত্যেকের সক্রিয়তা দরকার এজন্য। আমরা আমাদের সক্রিয়তা ফুটিয়ে তুলব।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের নিরাপত্তা শব্দটি অভিধান থেকে আউট করে দিয়েছে, মিথ্যা এবং সত্যের যে পার্থক্য সেটাকে ভুলিয়ে দিয়েছে। জাতীয়তাবাদী দলসহ অন্য ২০ দলীয় শরীক জোটের উপর হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপর স্ট্রিম রোলার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আজকের সভা সকল রাজনৈতিক নেতার মুক্তি দাবি করছে। ‘মিথ্যা’ মামলা বন্ধ করা হোক। আমরা অত্যাচার ও দমন-পীড়নের রাজনীতি বিশ্বাস করি না। দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদকে ঘৃণা করুন। স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ ও দলকে বেছে নিন।
বিদায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিয়াসের সভাপতিত্বে লন্ডন থেকে যোগ দিয়ে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল মামুন ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. শাহেদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক (সমন্বয়) অ্যাড. আদুল্লাহ আল হাসান সাকিব। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে আছেন। এ কষ্ট দূরীকরণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আবদুল আউয়াল মামুন বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি ঘৃণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মা-বাবা চান না তার সন্তান রাজনীতি করুক। কারণ, রাজনীতি দুর্বৃত্ত ও ডাকাতদের হাতে বন্দী হয়ে গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি : সালিমুল হক
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত ২