চট্টগ্রাম ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্পের প্রথম ক্যাচমেন্টের ২০০ কিলোমিটার পাইপ লাইনের পাইলিংয়ের কাজ শুরু হচ্ছে চলতি মাসে। নগরীর হালিশহরে সাগর উপকূলবর্তী এলাকায় ওয়াসার ১৬৩ একর ভূমিতে এখন প্রথম ক্যাচমেন্টের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের মাটি ভরাটের কাজ চলছে। প্রথম ক্যাচমেন্টকে তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে দুটি চায়না ও একটি কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানকে দরপত্র দেওয়া হয়েছে। কোরিয়ান এই কোম্পানি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পাশাপাশি নগরীতে ৯০ কিলোমিটার পাইপ লাইনের কাজও শুরু করতে যাচ্ছে। অপরদিকে চায়না দুটি কোম্পানির মধ্যে একটি ৬০ কিলোমিটার এবং অপরটি ৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও স্যুয়ারেজের প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম আজাদীকে জানান, স্যুয়ারেজ প্রকল্পের ক্যাচমেন্ট-১ এর কাজ শুরু হয়েছে। নগরীর হালিশহরে সাগর উপকূলবর্তী এলাকায় ওয়াসার ১৬৩ একর ভূমিতে কাজ চলছে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথম প্যাকেজের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। প্রায় ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকার পুরোটাই বাংলাদশ সরকারের। এর মধ্যে চলতি অর্থ বছরে ৩৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, প্রথম প্যাকেজে ১০ কোটি লিটার ধারণক্ষমতার একটি সলিড ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) এবং ৩০০ টন ধারণক্ষমতার ফিকেল স্ল্যাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এফএসটিপি) নামে দুইটি শোধনাগার নির্মাণের কাজ চলছে। শোধনাগার নির্মাণে কাজ করছে একটি কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান শোধনাগার নির্মাণের পাশাপাশি ৯০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানোর কাজ সেপ্টেম্বরে শুরু করবে। অপরদিকে চায়নার দুটি প্রতিষ্ঠানও তাদের কাজ চলতি মাসেই শুরু করতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, স্যুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়নে নগরীকে ছয়টি জোন বা প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। এরিয়া গুলো হলো-ক্যাচমেন্ট-১ নগরীর হালিশহর এরিয়া। এখন শুধুমাত্র ক্যাচমেন্ট-১ এর কাজ শুরু হয়েছে। ক্যাচমেন্ট-২ হচ্ছে কালুরঘাট এলাকা, ক্যাচমেন্ট-৩ ফতেয়াবাদ এলাকা, ক্যাচমেন্ট-৪ পূর্ব বাকলিয়া, ক্যাচমেন্ট-৫ উত্তর কাট্টলী, ক্যাচমেন্ট-৬ পতেঙ্গা এলাকা।












