১ নভেম্বর থেকে ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত

ক্লিন ফিডের ২৪টি বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারে বাধা নেই

আজাদী ডেস্ক | মঙ্গলবার , ৫ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আইন অনুযায়ী ক্লিন ফিড দেওয়া ২৪টির বেশি বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারে কোনো বাধা নেই। ক্যাবল অপারেটরসহ সবপক্ষকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, পয়লা নভেম্বর থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেমকে তারা ডিজিটালাইজ করবে। আশা করবো এই সময়সীমা সবাই অনুসরণ করার চেষ্টা করবেন। সবাই দেশের স্বার্থ এবং আইন মানাকে তুলে ধরবেন। গতকাল সোমবার দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো প্রতিনিধিবৃন্দ ক্লিন ফিড বাস্তবায়নের পদক্ষেপের জন্য তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে এলে মন্ত্রী ড. তাদের সংগে বৈঠক শেষে একথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ ও সবার স্বার্থের বিপক্ষে কেউ অবস্থান গ্রহণ করবেন বা তাদের পক্ষে কেউ ওকালতি করবেন এটি কখনো কাম্য নয়। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, দেশের গণমাধ্যম শিল্পের সবার স্বার্থে আমরা আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত সমপ্রচার বা ক্লিনফিড বাস্তবায়নের কাজ করছি। যারা দেশের স্বার্থ ও আইন মানে না, তাদের পক্ষে ওকালতি কাম্য নয়।
এটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, ডিবিসি ২৪ চ্যানেলের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিদুল হাসান, দেশ টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান ও ডিবিসি ২৪ চ্যানেলের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম বৈঠকে যোগ দেন।
তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী দেশের সকল গণমাধ্যম, শিল্পী-কলাকুশলীকে এ আইনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত সমপ্রচার বা ক্লিনফিড বাস্তবায়নের জন্য সকল পক্ষের সাথে দুই বছর আগে থেকে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে এবং আগস্ট মাসের বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল যে পয়লা অক্টোবর থেকে আমরা এই আইন কার্যকর করবো। কিন্তু এটি নিয়ে একটি মহল থেকে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা হয়েছে। আমি আশা করবো এই বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে তারা বিরত থাকবেন। সরকার আইন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর এবং প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে সাহস না জোগালে আমরা এ কাজগুলো কখনো করতে পারতাম না।
বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, বাংলাদেশে কোনো চ্যানেল সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ করা হয়নি, বন্ধ করতেও বলা হয়নি উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আমাদের দেশের চ্যানেলগুলো ভালো অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারে এবং অনেকেই করে। যে সমস্ত বিদেশি চ্যানেল আমাদের আইনকে তোয়াক্কা করে না, আমাদের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে, আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে চোখ রাঙ্গায় সেগুলোর পক্ষে ওকালতি করা সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি। অবশ্যই সব চ্যানেলের জন্যই আমাদের দ্বার উন্মুক্ত। কিন্তু আইন মেনে দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে সেই চ্যানেল সমপ্রচার হতে হবে। বিদেশি চ্যানেলের পরিবেশক ও ক্যাবল অপারেটরদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিনফিড দেয়, আকাশ ডিটিএইচ এগুলো চালাচ্ছে। অন্যরাও যদি এগুলো না চালায় তাহলে লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ হবে। সুতরাং শর্তভঙ্গের কাজ কেউ করবেন না।
সমপ্রচারমন্ত্রী আরো বলেন, বিদেশি চ্যানেলগুলো পাকিস্তান, নেপাল শ্রীলংকায় ক্লিনফিড পাঠায়। আর ক্লিনফিড পাঠানোর জন্য যে বড় রকমের বিনিয়োগ ও কারিগরি সুবিধা লাগে এসব কথামালা বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টারই অংশ। এখন ডিজিটাল প্রযুক্তিতে এগুলো সহজেই করা সম্ভব এবং সেটি সংশ্লিষ্ট চ্যানেল করতে পারে। এই দায়িত্ব প্রথমত সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের, দ্বিতীয়ত যারা সেই চ্যানেল ডাউলিংক করার অনুমতি নিয়েছেন, তাদের। তারা ব্যবসা করার স্বার্থেই এই সমস্ত চ্যানেল ডাউনলিংক করার জন্য অনুমতি নিয়েছেন এবং লাইসেন্স দেয়ার সময় ক্লিনফিডের শর্তের কথা বলা আছে। ক্যাবল অপারেটরেরাও সেই শর্তের কথা মেনেই তারা লাইসেন্স নিয়েছেন এবং এমন নয় যে, তারা ছাড়া আর বাংলাদেশে কেউ ক্যাবল অপারেটরের লাইসেন্স চায় না। আমাদের কাছে বহু ক্যাবল অপারেটরের লাইসেন্সের দরখাস্ত জমা পড়েছে। আমরা সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। শর্ত ভঙ্গ করলে বা বিভ্রান্তি ছড়ালে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষা নীতি ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিবর্তনের আহ্বান
পরবর্তী নিবন্ধসেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেল বসুন্ধরা গ্রুপ