ঘোষণা দেওয়া হয় ব্যাগ, জুতা ও রুটি তৈরির সরঞ্জাম আমদানির। কিন্তু নিয়ে আসা হয় উচ্চ শুল্কহার যুক্ত বেনসন সিগারেট। এতে প্রায় ১৭ কোটি টাকা রাজস্ব হারায় সরকার। এ ঘটনায় দুদকের দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় দুই আমদানিকারককে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন, ঢাকার প্রোপাইটর মিমি লেদার কটেজের স্বত্বাধিকারী গোলাম মোস্তফা প্রকাশ বাচ্চু মিয়া ও পাবনা সদরের এস কে এস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রাসেদুল ইসলাম কাফি। গতকাল চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা তাদের দুজনকে কারাগারে প্রেরণের এ আদেশ দেন। এর আগে উচ্চ আদালতের জামিন শেষে দুই আমদানিকারক আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালতের পক্ষ থেকে তা নাকচ করে দেয়া হয়।
দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরের পর দুই আমদানিকারক উচ্চ আদালত থেকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালিন জামিন নেন। সম্প্রতি এর মেয়াদ শেষ হলে তাঁরা আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দেন এবং তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পৃথকভাবে দায়ের হওয়া এ দুটি মামলার বিষয়ে দুদক পিপি আরো বলেন, কারাগারে প্রেরণ করা দুই আমদানিকারক ছাড়াও এ দুটি মামলায় আরো ১৬ জন আসামি রয়েছেন। তাদের মধ্যে কাস্টমস কর্মকর্তা,
এমনকি সিএন্ডএফ এজেন্টের লোকও আছেন।
আদালতসূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে ব্যাগ ও জুতা তৈরির মেশিনের ঘোষণা দিয়ে চীন থেকে উচ্চ শুল্কহার যুক্ত বেনসন সিগারেট আমদানি করেন ঢাকার প্রোপাইটর মিমি লেদার কটেজের স্বত্বাধিকারী গোলাম মোস্তফা প্রকাশ বাচ্চু। এতে ৮ কোটি ১৮ লাখ ৫ হাজার ১৮৩ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয় সরকার। অন্যদিকে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে রুটি তৈরির মেশিনের ঘোষণা দিয়ে জাল জালিয়াতি, এমনকি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উচ্চ শুল্কহার যুক্ত বেনসন সিগারেট আমদানি করে পরে তা খালাস করেন পাবনার এস কে এস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রাসেদুল ইসলাম কাফি। এতেও ৮ কোটি ১৫ লাখ ৬ হাজার ১১২ টাকা রাজস্ব হারায় সরকার।
এ দুটি ঘটনায় দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় গত ৯ ও ১০ মার্চ পৃথকভাবে মামলা দুটি দায়ের করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার। দুটি মামলাতেই আমদানিকারক গোলাম মোস্তফা ও রাসেদুল ইসলাম কাফি প্রধান আসামি।