১৩ মাসে জব্দ ১২ কোটি টাকার কাঠ

কাপ্তাইয়ে বিজিবির অভিযান

কাপ্তাই প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৫ মার্চ, ২০২১ at ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাইয়ে অভিযান চালিয়ে গত প্রায় এক বছরে ১২ কোটি টাকার কাঠ জব্দ করেছে বিজিবি। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ১৩ মাসে বিভিন্ন স্থানে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রায় ২৬ হাজার ঘনফুট সেগুন ও গামারি কাঠ জব্দ করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে এসব কাঠ কেটে বিভিন্ন উপায়ে পাচারের চেষ্টা করছিল বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ে একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে, যারা সংরক্ষিত বনের কাঠ কাটার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে। আবার চোর চক্রকে কাঠ কাটার সুযোগ করে দিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদাও আদায় করতো পাহাড়ি সংগঠনগুলো। কিন্তু ৪১ বিজিবির প্রচেষ্টা ও কাঠ উদ্ধারে বারবার অভিযান পরিচালনার ফলে পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বনের কাঠ কেটে পাচার করতে পারছে না। এর ফলে সন্ত্রাসীদের অবৈধ চাঁদা আদায়ও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সড়ক ও নদী পথে অভিযান পরিচালনা করে কাঠ উদ্ধারের কথা স্বীকার করেছেন ৪১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে অনুমতি ছাড়া মূল্যবান সেগুনসহ সব ধরণের কাঠ কাটা ও পরিবহন নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু সংঘবদ্ধ কাঠ চোরের দল গোপনে বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, ভ্যানে করে সড়ক পথে অবৈধ উপায়ে কাঠ পাচারের প্রচেষ্টা চালায়। কর্ণফুলী নদীতে নৌকায় করেও কাঠ পাচারের চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু বিজিবির অভিযানে কাঠ পাচারে ব্যর্থ হয় বন সন্ত্রাসীরা। সড়ক ও নদী পথে কাঠ পাচারে ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে বন সন্ত্রাসীরা কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বাঁশের ভেলায় করে অভিনব পদ্ধতিতে কাঠ পাচারের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সেই প্রচেষ্টাও সফল হতে দিচ্ছে না বিজিবি। গভীর রাতে একাধিকবার কর্ণফুলী নদীতে অভিযান চালিয়ে বাঁশের চালিসহ সেগুন কাঠ উদ্ধার করে বিজিবি।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণের মাধ্যমে গোপন সূত্রে কাঠ পাচারের খবর পেয়ে বিজিবি অভিযান পরিচালনা করে। বিজিবির নিজস্ব টহলতো আছেই। কাঠ চোর চক্র হীনস্বার্থে বন ধ্বংস করার জন্য সব সময় সুযোগ খোঁজে। বিজিবির এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৪১ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঢংছড়ি, কুকিমারা, শীলছড়ি, বরইছড়ি, ওয়াগ্‌গাছড়া, চিৎমরম, দোভাষী বাজার, লিচুবাগানসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে কাঠ গুলো জব্দ করা হয়। গড়ে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫টি করে কাঠ উদ্ধারের অভিযান চালায় বিজিবি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাজের স্বীকৃতি পেল সিএমপির ৪০ পুলিশ সদস্য
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপার নিহত