১২ দিন পর দেশে শনাক্ত ১০ হাজারের নিচে

| শনিবার , ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ

ওমিক্রনের দাপটের মধ্যে দেশে এক দিনে আরও ৯ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে আরও ৩০ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩৯ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৯ হাজার ৫২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এই সংখ্যা গত ২২ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন। ওইদিন ৯ হাজার ৬১৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
২৩ জানুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ৯০৬ জনে দাঁড়ায়। এরপর ২৬ জানুয়ারি তা ১৬ হাজার ৩৩ জনে পৌঁছায়, যা করোনাভাইরাস মহামারীর দুই বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৮ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসেবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ছয় হাজার ২৮২ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এই হিসেবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ২৮ হাজার ৯৩০ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায়রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন রোগীরা এই হিসাবেই আসেনি। গত বছর আগস্টের পর সোমবার প্রথমবারের মত দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়ায়। ১৫ জানুয়ারি এই সংখ্যা ছিল ৩১ হাজারের ঘরে। ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে জানুয়ারি মাসে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৩২২ জনের। তার আগের মাস ডিসেম্বরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ২৫৫ জন, আর সারা মাসে ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
মহামারীর পুরো সময়ে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গতবছর জুলাই মাসে, সখন ডেল্টার দাপট চলছে। ওই মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় ৬১৮২ জনের, যা এক মাসের সর্বোচ্চ।
ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে এবার মৃত্যুর সংখ্যা ওই সময়ের তুলনায় কম হলেও নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের নতুন রেকর্ডে পৌঁছায় গত ২৮ জানুয়ারি। শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার কমে হয়েছে ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশে। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ছয় হাজার ৯৮৪ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৫২ শতাংশের বেশি। যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ, ১১ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৭ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই সন্তানকে বাঁচিয়ে চলে গেলেন মা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে কমেছে শনাক্তের হার