সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় একই বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী চন্দনাইশের গিয়াস উদ্দিনসহ তিন প্রবাসীর লাশ দেশে এনে দাফন করা হয়েছে। চন্দনাইশ সমিতি ইউএইর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মাত্র ১২ দিনের মাথায় তাদের মরদেহ দেশে এনে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। মারা যাওয়ার অপর দুইজন হলেন পটিয়া উপজেলার বাহুলি এলাকার মোহাম্মদ লোকমানের পুত্র মো. আমিরুল ইসলাম কাইয়ুম ও উত্তর শ্রীমাই এলাকার হতে আবদুল মাবুদের পুত্র রাকিব হাসান।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় মারা যাওয়া ৩ প্রবাসীর লাশ চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে পৌঁছলে সমিতির সভাপতি লায়ন নজরুল ইসলাম তালুকদার, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউল আলমসহ নেতৃবৃন্দ লাশ গ্রহণ করেন। পরে তাদের পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়। গতকাল বিকেলে নিজ নিজ এলাকায় তাদের দাফন সম্পন্ন হয় বলে জানান সমিতির নেতৃবৃন্দ।
তিন রেমিটেন্স যোদ্ধার লাশ দেশে আনার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছেন সমিতির সভাপতি লায়ন নজরুল ইসলাম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক কাজী মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জালাল চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন, মাসুদ রানা, কামাল উদ্দিন, মামুন জায়েদ, কামাল জায়েদ, মাহবুবুর রহমান, আবু তাহের, মোস্তাক আহমেদ, মাও. জাহাঙ্গীর প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ জানান, ২০১৯ সালে চন্দনাইশ সমিতি ইউএই প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী ২২ জনের লাশ দেশে এনে পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের দেয়া হয়েছে আর্থিক সহযোগিতা।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৮ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমায় বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় একই সাথে মারা যান চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিরপাড়া এলাকার আবুল হোসেন প্রকাশ কালু সওদাগরের পুত্র গিয়াস উদ্দিন, পটিয়ার বাহুলি এলাকার আমিরুল ইসলাম কাইয়ুম ও লালারখীল এলাকার মোহাম্মদ রাকিব। তারা তিনজনই বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি মুদি দোকানে চাকরি করতেন।
গিয়াস উদ্দিনের ছোট ভাই রাসেল জানান, তার বড় ভাই দেড় বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি একটি মুদি দোকানে চাকরি করতেন। প্রতিদিনের মত ঘটনার দিনও কাজ শেষে রাতে বাসায় ঘুমাতে যান। সেখানে তার সাথে ছিলেন পটিয়া উপজেলার আরো ২ জন। কিন্তু পরদিন সকালে তাদের দোকানের মালিক কাজে যাওয়ার জন্য ডাকতে এলে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হন। ওইদিন রুমে বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটরের বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় তারা মারা যেতে পারেন বলে ধারণা করছে আরব আমিরাত পুলিশ।