১২ কোটি টাকা দানকর দিতে হবে ড. ইউনূসকে

এনবিআরের নোটিস বৈধ : হাই কোর্ট

| বৃহস্পতিবার , ১ জুন, ২০২৩ at ৫:০২ পূর্বাহ্ণ

দানের বিপরীতে প্রায় ১৫ কোটি টাকা কর চেয়ে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পাঠানো নোটিস বৈধ ছিল বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে হাই কোর্ট। ওই নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা গতকাল বুধবার খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে এই আবেদন করার সময় নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত করের ১০ শতাংশ হারে ৩ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৮ টাকা জমা দিতে হয়েছিল ইউনূসকে। হাই কোর্টে মামলা হারায় বাকি ১২ কোটি টাকাও তাকে পরিশোধ করতে হবে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।

শুনানিতে ইউনূস যুক্তি দেখিয়েছিলেন, যেহেতু তিনি টাকা দান করেছেন, তাই কর অব্যাহতি পাবেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে বলে, যেসব কারণে কর অব্যাহতি পাওয়া যায়, ইউনূসের বিষয়টি তার মধ্যে পড়ে না। তাকে অবশ্যই দান কর দিতে হবে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১১২ অর্থবছরে মুহম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট, ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট ও ইউনূস সেন্টারে ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দান করেন নোবেলজয়ী ইউনূস। ওই দানের বিপরীতে ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে ইউনূসকে নোটিস পাঠায় এনবিআর। ২০১২১৩ অর্থবছরে মুহম্মদ ইউনূস ট্রাস্টে তিনি দান করেন ৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এরপর ২০১৩১৪ অর্থবছরে তিনি মুহম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট ও ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্টে ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা দান করেন। ওই দুই দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং এক কোটি ৫০ লাখ টাকা দানকর চেয়ে আরও দুটি নোটিস দেওয়া হয় তাকে।

এনবিআরের সেসব নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কর আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ইউনূস। তার দাবি ছিল, নিজের মৃত্যুচিন্তা এবং পরিবারের কল্যাণ কামনায় দানকর আইন অনুযায়ী তিনি ওই অর্থ দান করেছেন। সুতরাং এনবিআর ওই দানের জন্য কর দাবি করতে পারে না। শুনানি শেষে ২০১৪ সালে কর আপিল ট্রাইব্যুনাল ইউনূসের মামলা খারিজ করে এনবিআরের পক্ষে রায় দেয়। এরপর হাই কোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন ইউনূস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদোহাজারী পৌরসভার নির্বাচন ১৭ জুলাই
পরবর্তী নিবন্ধপাঁচ হাজার কোটি টাকার ভূসম্পত্তি ইজারা দেয়ার চেষ্টা