১০ দিনের মধ্যে খাল নালার বাঁধ অপসারণ করুন

চসিকের সাধারণ সভায় মেয়র পরিচ্ছন্ন বিভাগের কার্যক্রমে অসন্তোষ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩০ মে, ২০২২ at ৮:১২ পূর্বাহ্ণ

 

 

আগামী ১০ দিনের মধ্যে নগরের সবগুলো খাল ও নালার বাঁধ অপসারণ করে পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, বাঁধগুলো সরিয়ে বৃষ্টির পানি চলাচলের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও সিডিএকে বারবার তাগাদা দেয়ার পরও তারা বাঁধ অপসারণ করেনি। যে কারণে কয়েকদিন আগে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বহদ্দারহাট, মুরাদপুরসহ অনেক এলাকায় জলজট হয়েছে। নাগরিক ভোগান্তি হয়েছে। এটা দুঃখজনক। চসিকের বর্তমান পর্ষদের ১৬তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল আনন্দরকিল্লা নগর ভবনের কেবি আব্দুচ সাত্তার মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় সভায় প্যানেল মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সচিব, বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন।

পরিচ্ছন্ন বিভাগের কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, জোন ভাগ করে দেয়ার পরও সুপারভাইজারদের অবহেলার কারণে এখনো নগরীতে ময়লার স্তূপ দৃশ্যমান, যা কোনো অবস্থায় মেনে নেয়া যায় না। তিনি মশক নিধনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। তাই এখন থেকে মশার ওষুধ ছিটানো ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইমারত নির্মাণের ওপর কর আদায় করছে। চসিকেরও ইমারত খাতের ওপর থেকে কর আদায়ের ব্যবস্থা ও নালার উপর স্ল্যাব বসিয়ে যারা সুবিধা ভোগ করছেন তাদেরকেও করের আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন স্থানীয় সরকার থেকে কোনো ধরনের থোক বরাদ্দ পায় না। নিজস্ব রাজস্ব খাত থেকে এত বড় প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার নির্বাহ করতে হয়। কর আদায়ের ক্ষেত্রে সঠিক ভূমিকা পালন করা হচ্ছে না বিধায় কর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমরা ব্যর্থ। কর আদায়ের ২৬টি খাতের মধ্যে মাত্র কয়েকটি খাত থেকে কর আদায় করা হয়। অন্যান্য খাত চিহ্নিত করে রাজস্ব বৃদ্ধির বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

মেয়র বারইপাড়া খাল খননের কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করারও নির্দেশনা দেন। প্রতি মাসে কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদন আকারে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আন্তরিক হয়ে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ও ১৩শ কোটি টাকার খাল খনন প্রকল্প চসিককে দিয়েছেন। তা দ্রুত ও স্বচ্ছতার সাথে বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করেন। মেগা প্রকল্পের বাইরে নগরীতে ২১টি খাল রয়েছে। তার ওপর সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নিদের্শনা দেন তিনি।

মেয়র নগরের আরবান স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে কাউন্সিলরের মাধ্যমে ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্কার করা হবে বলে জানান। তিনি আগামী ৫ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ প্লাস কর্মসূচি সফল করার জন্য কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নগরের কোরবানি পশুর বর্জ্য দ্রুততার সাথে অপসারণের জন্য এখন থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া এবং পশুর চামড়া যত্রতত্র ফেলা থেকে বিরত থাকার জন্য নগরবাসীকে সচেতন করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাল থেকে মাঠে নামছে জেলা প্রশাসন
পরবর্তী নিবন্ধএলইডি বাতি প্রকল্প নিয়ে ক্ষুব্ধ মেয়র ও একাধিক কাউন্সিলর