১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল পাবে আড়াই লাখ দুস্থ পরিবার

শুকলাল দাশ

বিনামূল্যের এই চাল পাবেন চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা ও ১৫ পৌরসভার বাসিন্দারা | রবিবার , ১১ জুন, ২০২৩ at ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা ও ১৫ পৌরসভায় ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) আওতায় প্রায় আড়াই লাখ হতদরিদ্রদুস্থ পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেবে সরকার। এই কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে এক কোটি ৫১ হাজার দরিদ্র ব্যক্তিকে ১০ কেজি করে সরকার চাল দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে এ বরাদ্দ দিয়ে সমপ্রতি সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে। এজন্য এক লাখ ৫১৫ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দরিদ্র জনগণের যাতে ঈদে কষ্ট না হয় এজন্য প্রতি বছরের মতো এই বছরও ঈদুল আজহার আগে বিনামূল্যে চাল বিতরণের এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বরাদ্দ দেওয়া ভিজিএফ চাল আগামী ২০ জুনের মধ্যে উত্তোলনসহ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। ঈদুল আজহার আগে উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে হতদরিদ্র পরিবার গুলোর মাঝে বিনামূল্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হবে বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা। এর আগে ঈদুল ফিতরের সময়ও সরকার সারাদেশে হতদরিদ্রদুস্থ পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দিয়েছিল। বর্তমান সরকার প্রতি ঈদে ভিজিএফের আওতায় সারাদেশে হতদরিদ্রদুস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ করার জন্য বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দিয়ে আসছে। এজন্য প্রত্যেক জেলা প্রশাসক বরাবরে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের আগেই ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়ে

থাকে। গ্রামের গরীব অসহায় পরিবারগুলো যাতে ঈদে কষ্টে না পড়েন এজন্য এই বরাদ্দ দেয়া হয়।

চট্টগ্রামের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফের আওতায় চট্টগ্রামে উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে ২ লাখ ৪৪ হাজার হতদরিদ্রদুঃস্থ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় এই খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হবে। পৌরসভার ক্যাটাগরি অনুযায়ী বরাদ্দ দেয়া হবে। পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানেরা উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করবেন। উপজেলা কমিটির মাধ্যমে তা বিতরণ করা হবে।

মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা রয়েছে, বিভিন্ন দুর্যোগের শিকার হয়ে খাদ্য সংকটে থাকা লোকজন, দিনমজুর, গৃহহারা মানুষ অগ্রাধিকারভিত্তিতে এই সহায়তা পাবেন। এ ছাড়াও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী লোকজনকেও সহায়তা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে এবারের সহায়তায় ৭০ শতাংশ নারীকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে জোর দেয়া হয়েছে।

সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪৯টি এবং ক, খ ও গ ক্যাটাগরির ৩২৯টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫১টিসহ মোট এক কোটি ৫১ হাজার ৫০০টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে কার্ডপ্রতি ১০ কেজি হারে এক লাখ ৫১৫ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধষষ্ঠবারের মতো সভাপতি হলেন খলিলুর রহমান
পরবর্তী নিবন্ধসভাপতি কাজী রাশেদ, সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম