হয়রানি করা বন্ধ হোক

জোনাকী দত্ত | শুক্রবার , ৩ জুন, ২০২২ at ৪:৩৬ পূর্বাহ্ণ

হয়রানি বা নিপীড়ন আক্রমণাত্মক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এই পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা অন্যকে ভোগান্তিতে ফেলে অনেক আনন্দ পায়। যাদের কাজই হচ্ছে অন্যকে হয়রানি করা।

সমাজে আমাদেরকে কম বেশি হয়রানির শিকার হতে হয়। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, কর্মস্থলে কিংবা ব্যাংকে একটা স্বাক্ষরের জন্য কি পরিমাণ ভোগান্তিতে পড়তে হয় তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে। সেই স্বাক্ষর যিনি দেবেন তার হয়তো কোনো লাভ হবে না কিন্তু যিনি নেবেন তার ঐ স্বাক্ষর না পেলে তাকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। একটা স্বাক্ষরের জন্য সপ্তাহ, মাস, এমনকি বছর ও পেরিয়ে যায়। অনেক সময় কোনো কিছু সত্যায়িত করার জন্য পরিচিত মানুষ ও স্বাক্ষর দিতে বিরক্তি প্রকাশ করে। এমন ভাব করে যেন তার প্রচুর সময় নষ্ট করছেন। এরা শুধু নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অন্যকে হেনস্তা করে। সমাজে এরা খুব বিরক্তিকর। এদের সংস্পর্শে কেউ প্রয়োজন ছাড়া যেতে চায় না। এদের থেকে সবসময় দূরে থাকতে পছন্দ করে। যারা রিটায়ার্ড করে স্বাক্ষরের জন্য তাদের ফাইল এই টেবিল থেকে ঐ টেবিলে ঘুরে। তারা দারুন হয়রানির শিকার হয়। বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে বিশেষ করে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষরের জন্য কতিপয় শিক্ষকদের দ্বারা দিনের পর দিন হেনস্তা হতে হয়। ফলে অনেকের কর্মজীবন শুরু করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের সকলের উচিত এসব হয়রানি করা মানুষগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। সমাজ থেকে হয়রানি বন্ধ করা হোক। তবেই আগামী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন উজ্জ্বল হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহৎ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধগ্রামে ও নগরে মাঠ নির্মাণে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি