গ্রামে ও নগরে মাঠ নির্মাণে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ | শুক্রবার , ৩ জুন, ২০২২ at ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ

শহর বন্দর ও গঞ্জে ইটের দোর্দণ্ডতায় গ্রাস করেছে বাবুদের খেলার মাঠ। মেধাবী সন্তানটি মাঠ ছেড়ে এখন ডিজিটালের কুপমুণ্ডো বলা যায়, আমাদের দিনগুলি আর সোনার খাঁচায় রইল না। তাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেনশিশুদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করুন। এরা ফ্ল্যাটে বাস করে ফার্মের মুরগির মত হয়ে উঠছে। মাঠের অভাবে শিশু ও যুব শক্তি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ আইপ্যাড ব্যবহারে সারাক্ষণ ডুবে থাকে। ফলে সতত সুন্দর পূজনীয় মর্ম হারাতে বসেছি।

ক্রিকেটের সুবোধ ছেলেটিকে। ফুটবলের বিস্ময়কর বালক উদাহরণ সৃষ্টি করে আলোর পথ পাড়ি দিতে পারেনি আমাদের ব্যর্থতার বিলাস সাধনায়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বলেই মন্ত্রাণালয় সহ সবাই নড়চড়ে বসলো। তিনি বলেন, যেখানে খালি জায়গা পাচ্ছি খেলার মাঠ করে দিচ্ছি। যদি অভিভাবকরা আন্তরিক হোন, তাহলে ফ্ল্যাটে বাস করা ছেলেটিও অপবাদ গুছিয়ে একজন নামকরা খেলোয়াড় ও দক্ষ সংগঠক হয়ে উঠবে।

শিশুদের সুন্দরভাবে বেড়ে উঠার উপর দেশের সার্বিক উন্নতি নির্ভর করে। কানামাছি, হা ডু ডু, ডাঙ্গুলি ও ঘুড়ি উড়ানো সহ অনেক সাধ তিরোহিত হয় মাঠ না থাকার নির্মম পরিহাসে। নূতন নির্মাণ কাঠামো ইমারতের পিষ্ঠতায় হচ্ছি শস্যহীন। আর সৃষ্টি হচ্ছে না নতুন কৃতি খেলোয়াড় ও কৃতি মানব। বুভুক্ষ পৃথিবী। একি তোমার সাড়ম্ভরতা? প্রধানমন্ত্রীর উপলদ্ধির শেষটুকু অন্তত আশা ভরসার আলোর পথে হাঁটতে চাই। আমরা শিশু কিশোর ও যুবাদের জন্য চাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। চাই ফার্মের মুরগীর বদনাম গুছাতে। চাই বাস্তবতার সুনির্দিষ্টকরণে মহল্লা গ্রামে ও নগরে মাঠ নির্মাণের শক্তিশালী পদক্ষেপ। আমরা বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। চাই সংবেদনশীলতা। বলাবাহুল্য অভিভাবকরাও যেন শিশুদের সামনে ল্যাপটপ, আইটপ সহ মোবাইল ফোনে বেশী তৎপর না হোন। শৃঙ্খলা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের দীক্ষা নিন। খেলাধুলার ব্যাপারে সন্তানকে উৎসাহিত করুন। মাঠ চাই মাঠ সর্বত্র দেশ মাতার সৃষ্টিশীল ভিত নির্মাণে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহয়রানি করা বন্ধ হোক
পরবর্তী নিবন্ধইক্বামতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব- এটি আল্লাহর ফরজ বিধান