কাগতিয়া দরবার শরীফের মোর্শেদে আজম বলেন, প্রিয় রাসুল (দ.) এর রেখে যাওয়া দ্বীনের উপর যতবার আঘাত হয়েছে ততবারই ইসলাম ফিরে এসেছে বিজয়ের মহাবারতা নিয়ে। ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম ও ঘৃণিত কাজ হলো কারবালার প্রান্তরে আওলাদে রাসুলগণের উপর চালানো বর্বরতা। প্রিয় নবীজির দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর রক্তস্নাত আল্লাহর এ জমিনে ইসলাম থাকবে আপন মহিমায়। আমাদের জানা আছে যুগে যুগে একদল হোসাইনি চেতনায় উজ্জিবীত থাকবে অন্যদল ইয়াজিদী ধারণা নিয়ে ফেতনা ফ্যাসাদের জন্ম দেবে। কালে কালে যারা হক্বের উপর অবিচল ছিল তারাই নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছিল। বস্তুতপক্ষে আঘাত সহ্য করে নবীজির দামান আঁকড়ে ধরে দ্বীনকে বুকে ধারণ করা হযরত হোসাইন (রাঃ) এর শিক্ষা, যে সুন্নাতের বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে হযরত গাউছুল আজমের তরিক্বতে। গতকাল সোমবার বাদে যোহর হতে নগরীর বায়েজিদের গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে ৭০তম পবিত্র আশুরা মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে কাগতিয়া দরবার শরীফের মোর্শেদে আজম ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশে তকরিরে এসব কথা বলেন।
মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর, মুহাম্মদ শফিউল আলম, মাওলানা মোহাম্মদ এরশাদুল আলম, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আবু বকর প্রমূখ। মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির উদ্যোগে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল বাদে যোহর খতমে কোরআন ও শোহাদায়ে কারবালা শীর্ষক আলোচনা, বাদে আছর- তরিক্বতের বিশেষ পদ্ধতিতে ফয়েজে কোরআন প্রদান, বাদে মাগরিব মোরাকাবা, জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী এবং বাদে এশা মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলীর তকরির মোবারক। মিলাদ ও কিয়াম শেষে বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।