হৃদয়ের গভীরতম অনুভবে জড়িয়ে থাকে আজাদী

গৌরীপ্রভা দাশ | বুধবার , ৬ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

‘আজাদী’-৬২ বছর বয়সী এই দৈনিকের সাথে আমার অতীত ও বর্তমানের বহু মূল্যবান স্মৃতি জড়িত। সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি বাবার হাতে রোল করা ছোট্ট পরিসরের দৈনিকটা। ঘরে ফিরেই বাবা আমাদের সব ভাইবোনকে তাঁর পাশে বসিয়ে একেকজনকে একেক পাতা পড়তে বলতেন যাতে দেশ ও বিশ্বের খবর জেনে আমরা আপডেট থাকি। আজ বাবা নেই কিন্তু আজাদী আছে গভীরতম অনুভবে জড়িয়ে। দিনের পর দিন গড়িয়েছে কিন্তু এখনো ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই হাতে নেয়া চাই সেই প্রিয় পত্রিকা আজাদী। কোন একদিন এই পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হবে সেটা মনে মনে ভাবতাম। সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপে নিয়েছে। প্রবীণ লেখকদের পাশাপাশি নবীন লিখিয়েরাও সংকোচ ঝেড়ে নিজের চিন্তা চেতনাও সৃষ্টিশীলতা প্রকাশের একটি নান্দনিক প্ল্যাটফর্ম পেয়েছে এই আজাদীতে। এখানে শুধু লেখকরাই নন পাঠকরাও মনের কথা অবলীলায় প্রকাশ করে থাকেন। আজাদী মাটিও মানুষের খুব কাছাকাছি। তাই আজাদী সাধারণ মানুষের ‘আলোঘর’। আজাদীতে দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে নগরের খবর, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তো বটেই সাথে অসাধারণ সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় কলাম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সাহিত্য সাপ্তাহিকী, বিনোদন, আগামীদের আসর, সুখেদুখে ফেসবুকে প্রতিটি ফিচার অত্যন্ত আকর্ষণীয়। গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ করছি প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল খালেককে। যাঁর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্যই ছিলো শুভবুদ্ধির সাথে যুক্তিনির্ভরতা। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও প্রগতিশীল ধ্যানধারণার বাহক প্রিয় আজাদীর গুণী সম্পাদক, লেখক, পাঠক ও পত্রিকা সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভ কামনা ও অভিনন্দন জানাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বমানব বসতি দিবস
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্বস্ত পত্রিকা আজাদী