সিরিজ হারার পরও একটি জয় বাংলাদেশ দারুন উজ্জীবিত করতে পারতো। ভাল আত্মবিশ্বাস যোগাতে পারতো। অনেক কিছুই বদলে দিতে পারত। কিন্তু তা আর হলো না। ধরতে ধরতে হারিয়ে গেল জয়। ম্যাচের পর মাহমুদউল্লাহ জানালেন সেই হতাশা। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, অনেক চেষ্টাতেও কাজ হচ্ছে না। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কিছুটা লড়াই করে হারে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে হেরে যায় সহজেই। শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর একটা সুযোগ ছিল। শেষ দিকে দারুণ রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জেতা হয়নি। শেষ ওভারে ৮ রানের সমীকরণে অবিশ্বাস্যভাবে দলকে জেতানোর আশা দেখিয়েছিলেন স্বয়ং অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ওভারের প্রথম বলে তিনি রান দেননি, পরের দুই বলে আউট করে দেন সরফরাজ আহমেদ ও হায়দার আলিকে। চতুর্থ বলে ইফতিখার আহমেদ বিশাল এক ছক্কা মারলেও পরের বলে তাকেও ফেরান অধিনায়ক। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজ শেষ মুহূর্তে সরে গিয়ে বোল্ড হওয়ার পর তা ‘ডেড বল’ হওয়া এবং শেষ বলে নওয়াজের বাউন্ডারিতে ম্যাচ জিতে যায় পাকিস্তান। কাছে গিয়েও এমন হারের অভিজ্ঞতা গত ১০ বছরে অনেক আছে বাংলাদেশের। হৃদয়ভাঙার অভিজ্ঞতাও কম নয় ক্রিকেটারদের। আরও একবার সেই স্বাদ পাওয়ার পর শুষ্ক হাসিতে মাহমুদউল্লাহ শোনালেন অসহায়ত্বের কথা। ‘কিছুটা তো হার্টব্রেকিং বটেই। খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম (জয়ের), দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়নি।’ ‘আমার মনে হয়, যদি দু-একটি ম্যাচ জেতা যেত, দলের আত্মবিশ্বাস আরও ভালো থাকত। আমাদের ড্রেসিং রুম অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের সময় খুব উৎফুল্ল ছিল। অবশ্যই ম্যাচ হারলে দলের সবার খারাপ লাগে। অনেক সংশয় সৃষ্টি হয়। তবে ছেলেরা অনেক কষ্ট করেছে সবাই। এফোর্ট দিয়েছে। চেষ্টা করেছে জানপ্রাণ দিয়ে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফল আমাদের পক্ষে আসেনি।’
এই সিরিজ দিয়ে আপাতত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিরতি। সব ঠিকঠাক থাকলে পরের টি-টোয়েন্টি আগামী ফেব্রুয়ারিতে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে।