হাসিনা-কোবিন্দ বৈঠকে যোগাযোগে জোর

ভারতের রাষ্ট্রপতিকে লালগালিচা সংবর্ধনা, প্রধানমন্ত্রীর জন্য এনেছেন ঘরে বানানো মিষ্টি কেক বিস্কুট

| বৃহস্পতিবার , ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়াতে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনায়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া যোগাযোগের পথগুলো আবারও চালুর উপর জোর দেন শেখ হাসিনা। আর দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ শক্তিশালী করতে দৃষ্টি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কোবিন্দ। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির সময়ে তারা দু’জনই উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পরস্পরকে ধন্যবাদ দেন। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের আয়োজনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে বুধবার ঢাকায় আসেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তাদের আলোচনায় এসব বিষয়ে উঠে আসে। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ভারতকে অত্যন্ত ভালো বন্ধু হিসেবে বিবেচনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি কোভিড মহামারীকালে বিভিন্ন বাধার পরও উভয় দেশের মধ্যেকার সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাবের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তার সরকার ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ নীতিতে বিশ্বাস করে এবং দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও উৎসব উদযাপন করতে পারেন। এখানে কোনো ধরনের বাধা নেই।
আলোচনায় বাংলাদেশকে ভারতের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে ঢাকা সফররত কোবিন্দ বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক বিস্তৃত ও গতিশীল। আমরা দুই দেশের মধ্যে আরও শক্তিশালী যোগাযোগের উপর দৃষ্টি দিচ্ছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত বলেও জানিয়েছেন রাম নাথ কোবিন্দ। করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে বাংলাদেশ ওষুধ পাঠিয়ে সহযোগিতা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিন দিনের সফরে বুধবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ঢাকায় এলে শাহজালাল বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেখানে ভারতীয় রাষ্ট্রপতিকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার বিজয় দিবসে বাংলাদেশের উদযাপনে সঙ্গী হবেন কোবিন্দ। সফর শেষে আগামীকাল শুক্রবার তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে জন্য মিষ্টি কেক বিস্কুট উপহার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য উপহার হিসেবে মিষ্টি, কেক আর বিস্কুট নিয়ে এসেছেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, যা তৈরি হয়েছে তারই বাসভবনে। শেখ হাসিনা বুধবার বিকেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তাকে এই উপহার দেন কোবিন্দ। এর আগে ‘সুস্বাদু ও মিষ্টি’ আম উপহার পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলার ও ইজি বাইক অপসারণের নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধউন্নয়নের যে পথে চট্টগ্রাম