ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলার ও ইজি বাইক অপসারণের নির্দেশ

আজাদী ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ

সারা দেশে ব্যাটারিচালিত অবৈধ থ্রি হুইলার ও ইজিবাইক চিহ্নিত করে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেয়। অবৈধ থ্রি হুইলার ও ইজি বাইকের আমদানি, নির্মাণ ও চলাচল বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। শিল্প সচিব, সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ সচিব, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র চেয়ারম্যান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আতিক তৌহিদুল ইসলাম; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। আইনজীবী আতিক পরে বিডিনিউজকে বলেন, দেশে ৪০ লাখের বেশি থ্রি হুইলার ও ইজিবাইক চলছে। ব্যাটারিচালিত এসব যানবাহন চলাচলের কোনো অনুমতি নেই। বুয়েট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে এসব ইজিবাইক বা থ্রি হিুইলারের ব্যটারি চার্জ দেওয়া হচ্ছে। ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
এ আইনজীবী জানান, পরিবেশবান্ধব, সৌরবিদ্যুত দিয়ে চলে এমন একটি ইজিবাইক স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত করে বাজারে আনতে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছেন রিট অবেদনকারী। সে কারণে দেশে অনুমোদন ছাড়া যেসব ইজিবাইক বা থ্রি হুইলারগুলো চলছে, সেগুলো বন্ধের জন্যই এ রিট আবেদনটি করা হয়।
থ্রি হুইলার ও ইজিবাইকের পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বা স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১৩ ডিসেম্বর এ রিট আবেদন করেন বাঘ ইকো মটরস লিমিটেডের সভাপতি কাজী জসিমুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে আমদানিকৃত চার্জার রিকসার সংখ্যা ৬ থেকে ৭ হাজার এবং প্যাডেল চালিত রিকসায় ব্যাটারি লাগানো থ্রি হুইলারের সংখ্যা ৩ হাজার। চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক চার্জার রিকসা মালিক সমিতির সভাপতি মো. ওয়াজিউল্লাহ দৈনিক আজাদীর কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাগ্যের লড়াইয়ে উত্তীর্ণ ৩ হাজার ৮৬০ শিক্ষার্থী
পরবর্তী নিবন্ধহাসিনা-কোবিন্দ বৈঠকে যোগাযোগে জোর