হার দিয়ে বিপিএল শুরু চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ২২ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:২১ পূর্বাহ্ণ

বল হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করা হলোনা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। হার দিয়ে হলো চট্টগ্রামের যাত্রা। এবারের বিপিএলের প্রথম ম্যাচে বরিশালের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে চট্টগ্রাম। অধিনায়ক হিসেবে খেলতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ দুর্দান্ত বল করে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তুলে নেন ৪ উইকেট। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা পারেনি ম্যাচ জয়ের মত কোন মঞ্চ তৈরি করতে। ফলে জয় দিয়ে শুরু করলেন সাকিব আল হাসান এবং তার দল বরিশাল। নিজের সেরাটা দিয়েছেন অধিনায়ক মিরাজ। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় বিফলেই গেলো মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। টিম পারফরম্যান্সের প্রদর্শনী দেখিয়ে বিপিএলের অষ্টম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচটি জিতে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৫ রান সংগ্রহ করেছিল। জবাবে ৬ উইকেট হারালেও ১৮.৪ ওভারেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে বরিশাল।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রামের ওপেনার কেনার লুইস নাইম হাসানের করা প্রথম বলেই ছক্কা মারেন। এক বল পরই আবারও ছক্কা মারতে গিয়ে ধরা পড়ের লং অনে। তিন নম্বরে নেমে হতাশ করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। আলঝারি জোসেফের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে । ৬ রান করেন আফিফ। একই অবস্থা হয় সাব্বির রহমানের। সাকিব আল হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন ৮ রান করা সাব্বির। পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া চট্টগ্রামের চাপ আরো বাড়ান ৪২ রানে সাজঘরে ফেরা উইল জ্যাকস। তার ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ১৬ রান। দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও পারেননি দায়িত্ব নিতে মিরাজ ফিরেন ২০ বলে ৯ রান করে । আরেক তরুণ শামীম পাটোয়ারী ২৩ বল খেলে করতে পেরেছেন মাত্র ১৪ রান। অভিজ্ঞ নাইম ইসলাম ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি।
তবে দলের দায়িত্বটা নেন বেনি হাওয়েল। তার কল্যানে শেষ ৬ ওভারে আরও ৬২ রান করে চট্টগ্রাম। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে তিনটি করে চার-ছয়ের সাহায্যে মাত্র ২০ বলে ৪১ রান করেন হাওয়েল। শেষ পর্যন্ত ১২৫ রান করে চট্টগ্রাম। বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন আলঝারি জোসেফ। নাইম হাসানের শিকার দুই উইকেট। এছাড়া সাকিব, ব্রাভো ও লিনটট নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরান মিরাজ। নাসুম আহমেদ ও মেহেদি মিরাজের ভেলকিতে প্রথম ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান তুলতে পারে বরিশাল। সৈকত আলিকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সাকিব। কিন্তু ১৬ বলে ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি বরিশাল অধিনায়ক। এরপর তৃতীয় উইকেটে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৪ রানের জুটি গড়েন সৈকত। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর করা ১২তম ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ১৬ রান করা তৌহিদ। তবু একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ের পথেই রাখেন সৈকত আলি। তবে চট্টগ্রামকে ম্যাচে ফেরার আভাস দেন অধিনায়ক মিরাজ। ইনিংসের ১৫তম ওভারে বল করতে এসে সৈকত আলিকে ফেরান মিরাজ। ৩৯ রান করা সৈকতের বিদায় নিশ্চিত করেন উইল জ্যাকস দারুন এক ক্যাচে। সেই ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় বরিশাল। সৈকত আউট হওয়ার পরের বলেই ফিরেন ১৬ রান করা ইরফান শুক্কুর। আর শেষ বলে রানআউটে কাঁটা পড়েন সালমান হোসেন। নিজের চার ওভারে ১৬ রানে ৪ উইকেট নেন মিরাজ। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে কখনও ৩ উইকেট পাননি তিনি। মিরাজের এই ওভারের পরও অবশ্য কোনো লাভ হয়নি চট্টগ্রামের। ১৭তম ওভারে দুই চার ও এক ছয়ের মারে ১৮ রান নিয়ে নেন জিয়া। শেষ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে জয় নিশ্চিত করে জিয়া ও ডোয়াইন ব্রাভো। জিয়া ১২ বলে ১৯ এবং ব্রাভো ১০ বলে ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মিরাজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকানাডাকে হারিয়ে প্রথম জয় টাইগার যুবাদের
পরবর্তী নিবন্ধস্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী কাপ ক্রিকেটে চিটাগাং ক্রিকেট একাডেমি জয়ী