ব্যাটিং ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হার দিয়ে সফর শুরু হলো যুবাদের। সম্মিলিত চেষ্টায় প্রতিপক্ষকে খুব বড় সংগ্রহ গড়তে দেননি বোলাররা। পরে অবশ্য রান তাড়ায় লড়াই–ই করতে পারলেন না বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের ব্যাটাররা। কলম্বোয় প্রথম যুব ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার জয় ৯৮ রানে। ২৪১ রানের পুঁজি গড়ে সফরকারীদের তারা গুঁড়িয়ে দেয় স্রেফ ১৪৩ রানে। লঙ্কান যুবাদের হয়ে তিন ব্যাটার খেলেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। ৪টি চারে ৭৪ বলে ৫০ রান করেন সেনুজা ওয়েকুনাগোদা। চামিকা হিনাতিগালা অপরাজিত ৭৮ রান করতে মারেন এক ছক্কা ও ৪টি চার। ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন কাভিজা গামাগে। ৫ চারে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার কালাম সিদ্দিকি। ২৫ রানও করতে পারেননি আর কেউ। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কাকে শুরুতে চেপে ধরে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে দুলনিথ সিগেরাকে ফিরিয়ে দেন ইকবাল হোসেন। কয়েক ওভার পর এই পেসারের শিকার দিমান্থা মাহাভিথানা। স্বাগতিক অধিনায়ক ভিমান্থ দিন্সারাকে টিকতে দেননি রিজান হোসেন। এক প্রান্ত ধরে রেখে পঞ্চাশ ছুঁয়েই বিদায় নেন ওয়েকুনাগোদা। দ্রুত আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের ওপর চাপ বাড়ায় বাংলাদেশ। ১১৪ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটিকে এরপর টানেন হিনাতিগালা ও গামাগে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে রান বাড়াতে থাকেন দুইজন। শেষ পর্যন্ত তাদের যুগলবন্দী ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। হিনাতিগালা ও গামাগের ১২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আড়াইশর কাছে যেতে পারে শ্রীলঙ্কা। রান তাড়ায় জাওয়াদ আবরারকে (১ ছক্কায় ১৪) দ্রুত হারানোর ধাক্কা কালাম ও আজিজুল হাকিমের ব্যাটে প্রায় কাটিয়েই উঠছিল বাংলাদেশ। তবে এই জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দলটির ব্যাটিং। বাউন্ডারি ছাড়া ২৪ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুলের বিদায়ে ভাঙে ৪৫ রানের জুটি। এরপর দলের হাল ধরতে পারেননি কেউ। ১ উইকেটে ৭৪ রান থেকে দেড়শর আগেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। দলটির শেষ ৮ ব্যাটারদের মধ্যে কেবল দুইজন যেতে পারেন দুই অঙ্কে। তাদের কেউ আবার করতে পারেননি ২০ রানও। বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসিয়ে ৩৫ রানে ৫ উইকেট নেওয়া ভিগনেশ্বারান আকাশ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। হাম্বানটোটায় দুই দলের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামী সোমবার।