কিছুদিন আগেও যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে দেশে ফিরেছিল তামিম ইকবালের দল তখন তাদের চোখে মুখে ছিল আনন্দের ঝিলিক। কারন সেবার যে ক্যারিবীয়দের হোয়াইট ওয়াশ করেই দেশে ফিরেছিল তামিমরা। কিন্তু এবার অপেক্ষাকৃত খর্ব শক্তির দল জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হেরে লজ্জায় মুখ লুকিয়েই যেন দেশে ফিরল তামিম ইকবালের দল। জিম্বাবুয়ের কাছে প্রায় নয় বছর পর ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। গত ৯ বছরে যা হয়নি সেটাই যেন এবার হলো বাংলাদেশের সঙ্গে। গতকাল স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখে বাংলাদেশ ওয়ানডে দল।
এবারের জিম্বাবুয়ে সফর একরাশ হতাশাই উপহার দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। টি–টোয়েন্টি সিরিজে ২–১ ব্যবধানে হারের পর ওয়ানডে সিরিজও একই ব্যবধানে হেরে যায় টাইগাররা। গত ৫ আগস্ট হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে হার মানে বাংলাদেশ। সে ম্যাচে সিকান্দার রাজা এবং ইনোসেন্ট কাইয়ার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে তিনশর বেশি রান করেও জিততে পারেনি বাংরাদেশ। তারপর দ্বিতীয় ম্যাচেও একই ব্যবধানে পরাজিত হয়ে সিরিজ হাতছাড়া করে তামিমের দল। এই ম্যাচেও বাংলাদেশকে হারিয়ে দেওয়ার মুল নায়ক সিকান্দার রাজা। এই ম্যাচেও সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বলা যায় তার কাছেই যেন পরপর দুই ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে সিকান্দার রাজাকে সঙ্গ দিয়েছে চাকাভা।
তবে দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ করার যখন স্বপ্ন দেখছিল জিম্বাবুয়ে তখনই ঘুরে দাড়ায় তামিম ইকবালের দল। শেষ ম্যাচে অবশ্য ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে সফরকারীরা। তবে সেটা ছিল কেবল সান্তনার জয়। যদিও এই জয় স্বস্তিরও। কারন এই ম্যাচে হারলে আরো বড় লজ্জায় পুড়তে হতো বাংলাদেশ দলকে। ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা চারটি সেঞ্চুরি করেছে। যেখানে সিকান্দার রাজা একাই করেছেন দুটি। শেষ ম্যাচে অবশ্য রানের খাতা খুলতে পারেনি রাজা। নাহয় এই ম্যাচেও হয়তো ফলাফল ভিন্ন রকম হতে পারতো। কারন এই ম্যাচে বাংলাদেশের পুজি ছিল কেবল ২৫৬। তবে শেষ পর্যন্ত কিছুটা হলেও মান বাঁচিয়ে দেশে ফিরেছে তামিম ইকবালের দল। দেশে ফেরার পর খুব বেশি বিশ্রামের সুযোগ মিলবে না টিম বাংলাদেশের। ক’দিন পরই শুরু হয়ে যাবে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি।