বেড়াগাছ নামে পরিচিত ঢোলকলমি এক সময় দেশের সর্বত্রই পাওয়া যেত। রাস্তার ধারে, খাল, বিল, জলাশয় ও জমির কিনারায় বিনা যত্নে বেড়ে উঠতো গাছটি। অবহেলায় বেড়ে ওঠা আগাছা হিসেবে পরিচিত গাছটি দ্রুত ঝোপঝাড়ে পরিণত হতো। সবুজ পাতা আর পাঁচটি হালকা বেগুনি পাপড়িযুক্ত ফুল ধারণ করে ৬ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় ঢোলকলমি। সারা বছর ফুল দেখা গেলেও বর্ষার শেষ, শরৎ ও শীতকালে ফুল একটু বেশিই দেখা যায়। ঢোলকলমি জমির ক্ষয়রোধ করে এবং বেড়া হিসেবে কাজ করে। ফসলি জমির ধারে ঢোলকলমি জন্মে পাখির বসার জায়গা করে দেয়, ফলে গাছে বসে পাখি সহজে পোকা মাকড় খেতে পারে। ঢোলকলমির ফুলে মধু থাকায় ভোমরার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। গ্রামের শিশুরা ঢোলকলমির ফুল দিয়ে খেলা করে। গৃহপালিত পশু ঢোলকলমির পাতা খায় না, ফলে ঢোলকলমির সংখ্যা দ্রুতই বাড়ে এবং বেড়ার মতো আকার ধারণ করে। বন্যা ও খরা উভয়েই সহনীয় বলে সারা বছর দেখা মেলে ঢোলকলমির। আজ অপ্রয়োজনীয় বলে মানুষ কেঁটে ফেলছে গাছটি, তাই এখন আর তেমন চোখে পড়ছে না। পৃথিবীতে প্রতিটি উদ্ভিদই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপকারী এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য। উদ্ভিদবৈচিত্র্যের স্বার্থে ঢোলকলমি রক্ষা করা সকল নাগরিকের দায়িত্ব । লেখক: শিক্ষার্থী