ট্রেনের আসন শত ভাগই বিক্রি হোক

| বুধবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ

নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের দিক বিবেচনায় ট্রেনই সবার শীর্ষে। সড়কপথে তীব্র যানজট কিংবা অঘোষিতভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে মানুষ ট্রেনের উপরই অধিক আস্থাশীল। এই আস্থা মানুষের মধ্যে এতই বেশী যে, ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার ঘোষণা দিলেও এ পর্যন্ত মনে হয় না কোনো ট্রেন ৫০ ভাগ যাত্রী নিয়ে তার নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছে। ট্রেনে যাত্রীর চাপ কম বেশী সবসময়ই থাকে।সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকল্পে ট্রেনের ৫০ ভাগ আসন বিক্রির মহৎ সিদ্ধান্ত নিলেও ট্রেনে যাত্রী মহোদয়ের স্রোত শতভাগই। এতে করে সিদ্ধান্তের হিতে বিপরীতে হচ্ছে। ট্রেনের ৫০ ভাগ আসন বিক্রি হওয়া মানে ট্রেনে উঠা বাকী ৫০ ভাগেরই টিকিট নেই। কেননা, ট্রেনে ফাঁকা নেই একটি সিটও! টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠা ব্যক্তিটিকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, ‘টিকিট পাই নাই’। টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠলে নিয়মানুযায়ী জরিমানা সহ পূর্ণ ভাড়া আদায়ের কথা শুনে তারা জ্বলে ওঠেন। বাকবিতণ্ডা শুরু করে দেয় টিটিই’দের সাথে। অবৈধ যাত্রী ও টিটিই দের এমন বাকবিতণ্ডায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে সাধারণ যাত্রীরা। তাছাড়া, যারা টিকিট পান না তাদের ভোগান্তিও কম নয়।
যেহেতু সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ রেল এবং যাত্রী ভোগান্তিও চরম। সেহেতু ট্রেনের কিছুটা ক্ষতি কমানো এবং যাত্রী ভোগান্তি নিরসনের লক্ষ্যে ফের ট্রেনের টিকিট শতভাগ বিক্রির ব্যবস্থা নেয়া হোক।
মো. নাঈম ইসলাম
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখান বাহাদুর আহছানউল্লা : শিক্ষাবিদ ও সমাজ হিতৈষী
পরবর্তী নিবন্ধহারিয়ে যাচ্ছে ঢোলকলমি