প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূজামণ্ডপে সামপ্রতিক হামলা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত তদন্ত শেষ করে এ ঘটনার পেছনে জড়িতদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যত শিগগির সম্ভব এ ঘটনার তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো তুচ্ছ ঘটনায় কেউ যাতে তাৎক্ষণিক বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া না দেখায়, এজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিও তিনি আহ্বান জানান।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় খুব শিগগির কিছু খুঁজে পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, ধর্ম অবমাননার বা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করতে ইসলাম কোনো মুসলমানকে ক্ষমতা দেয়নি। ইসলামের কাছে এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, বিক্ষুদ্ধরা প্রতিবাদ জানাতে পারে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি জানাতে পারে।
ধর্ম নিয়ে কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করে : বাংলানিউজ জানায়, দেশে ধর্ম নিয়ে কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করে সেই আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ অসামপ্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে সবাই স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত রক্তক্ষয়, এত ঘটনা বাংলাদেশে ঘটে গেছে, আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে। বাংলাদেশ অসামপ্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ তার ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে। আমাদের সংবিধানেও সেই নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমাদের ইসলাম ধর্মও সেই কথাই বলেছে। নবী করিমও (সা.) বলেছেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। কাজেই সেই বাড়াবাড়ি যেন কেউ না করে সেটাও আমরা চাই এবং এদেশে সব মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।