যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে ইউক্রেনে ‘আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত’ নিয়ে ফেলেছেন, এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেটা হতে পারে। তিনি বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দারা যেসব তথ্য পেয়েছেন, তাতেই তার বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে। আর সেসব তথ্য বলছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ হতে পারে রুশ হামলার লক্ষ্যবস্তু। অন্যদিকে বিডিনিউজের খবর থেকে জানা যায়, পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ইউক্রেনের এক সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনী। গতকাল শনিবার সকালে ওই সেনা মারা যান বলে জানিয়েছে তারা। প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। তবে পশ্চিমা সরকারগুলো বলে আসছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে কোনো ধরনের ‘নাটক’ সাজানোর পরিকল্পনায় আছে রাশিয়া, যাতে হামলার চালানোর জন্য একটা ‘অজুহাত’ পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ১ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো, যাদের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেস্ক ও লুহানস্ক রুশ সমর্থিক যোদ্ধারাও আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কখনও এত বেশি সৈন্য সমাবেশ ঘটায়নি রাশিয়া। আর এই বাহিনীর অর্ধেকই ‘অ্যাটাক পজিশনে’, অর্থাৎ হামলার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের ভাষ্য। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী নিজেদের ফেসবুক পেজে জানায়, দিনের শুরু থেকে ১৯ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আর এর আগের ২৪ ঘণ্টায় লঙ্ঘন করেছে ৬৬ বার। তাছাড়া, মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভারি অস্ত্র ব্যবহার করে ২০ টির বেশি বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়েছে বলেও দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী, যা ইউক্রেন সেনাবাহিনী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যকার মিন্সক চুক্তির পরিপন্থি।