সাঁতার না জানা মানুষের পানিতে নামলে যে অবস্থা হয় চট্টগ্রামের সাঁতারের অবস্থাও যেন ঠিক তেমনই। বলতে গেলে এক রকম হাবুডুবু খাচ্ছে চট্টগ্রামের সাঁতার। একটা সময় অজুহাত হিসেবে দাঁড় করা হতো সাঁতারের জন্য চট্টগ্রামে কোন সুইমিং পুল নেই। তাই সাঁতারু উঠছেনা। কিন্তু দেশের অন্যতম বৃহত্তম সুইমিংপুল চট্টগ্রামে নির্মিত হলেও চট্টগ্রামের সাঁতার সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। হয়নি কোন উন্নতি। তারপরও উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে আরেকটি সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। আর সেটিও সম্পন্ন হবে মাত্র একদিনে। যেখানে একজন সাঁতারুকে খেলতে হবে পাঁচটি ইভেন্টে। সেটা একজন তরুন সাঁতারুর পক্ষে সম্ভব কিনা মে প্রশ্নেরও কোন সদুত্তর মেলেনি। যদিও সাঁতার কমিটির সহসভাপতি জানিয়েছেন তারা অংশ গ্রহণকারী দলসমূহকে অনেক আগেই এই বাইলজ প্রেরণ করেছে। কিন্তু একজন সাঁতারু একদিন পাঁচটি ইভেন্টে কিভাবে খেলবে তার কোন সদুত্তর নেই। আর এভাবেই উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে সাঁতার প্রতিযোগিতা। যেখানে অংশ নেবে ২৭টি দল। প্রতিটি দলে থাকবে সর্বনিম্ন ২ জন থেকে সর্বোচ্চ ৪ জন খেলোয়াড়। প্রতিযোগিতার ইভেন্টগুলো হচ্ছে– ফ্রি স্টাইল : ৫০ মিটার, ১০০ মিটার, ২০০ মিটার উন্মুক্ত। ফ্রি স্টাইল ৫০ মিটার (অনুর্ধ্ব–১৬)। বাটারফ্লাই: ৫০ মিটার, ১০০ মিটার উন্মুক্ত। বাটারফ্লাই ৫০ মিটার (অনূর্ধ্ব–১৬)। ব্যাক স্ট্রোক ৫০ মিটার, ১০০ মিটার, ২০০ মিটার উন্মুক্ত। ব্যাক স্ট্রোক ৫০ মিটার (অনূর্ধ্ব–১৬)। ব্রেস্ট স্ট্রোক : ৫০ মিটার, ১০০ মিটার, ২০০ মিটার উন্মুক্ত, ব্রেস্ট স্ট্রোক ৫০ মিটার (অনূর্ধ্ব–১৬)। একজন সাঁতারু সর্বোচ্চ ৫টি ইভেন্টে অংশ নিতে পারবে। একটি ইভেন্টে একটি দলের সর্বোচ্চ ১ জন সাঁতারু অংশ নিতে পারবে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া দলসমূহে দুইজন করে হলেও সাঁতারু অংশ নিলে প্রতিযোগীর সংখ্যাটা দাঁড়াবে ৫৪ জন। আর যদি এর বেশি অংশ গ্রহণ করে তাহলে সে সংখ্যাটা আরো বড় হবে। তবে সাঁতার কমিটির কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য মতে তাদের সে পরিমাণ সাঁতারু নেই। তবে এবারের প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রামের বাইরের কোন সাঁতারু অংশ নিতে পারবে না। এ জন্য বেশ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে আয়োজকরা। সাঁতার কমিটির কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য মতে তাদের কাছে জাতীয় পর্যায়ে পদকের আশা করতে পারে তেমন কোন সাঁতারু নেই। তবে তারা সাঁতারু সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছেন হয়তো তারা সফলকাম হবেন। এবারের সাঁতার প্রতিযোগিতার স্পন্সর করেছে জিপিএইচ ইস্পাত লিঃ।
আগামীকাল সকাল ১০টায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হবে। আর বিকেলে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হবে। উদ্বোধনী এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন এর উপ মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত লি: এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল, বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম বি সাইফ ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারশনের সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুর রকিব মন্টু। সভাপতিত্ব করবেন সিজেকেএস সহ সভাপতি ও সাঁতার কমিটির চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল।
এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষ্যে গতকাল সুইমিংপুলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিজেকেএস সাঁতার কমিটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মাহবুব। বক্তব্য রাখেন সিজেকেএস সহ সভাপতি এবং সাঁতার কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম এহসানুল হায়দার চৌধুরী (বাবুল), সহসভাপতি এড. শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, সাঁতার কমিটির সহসভাপতি আসলাম মোরশেদ, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত লি. এর মিডিয়া এডভাইজার অভীক ওসমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দীন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, নির্বাহী সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো: দিদারুল আলম, সিজেকেএস সাঁতার কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান সাগর, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আকতারুজ্জামান, সদস্য মুজিবুর রহমান, রায়হান উদ্দিন রুবেল, আসাদুজ্জামান খান, সিজেকেএস কাউন্সিলর এনামুল হক, লুৎফুল করিম সোহেল, মো: সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, সাইফুল আলম খাঁন প্রমুখ।