হাতিয়াবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ

| মঙ্গলবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। নোয়াখালী থেকে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে কোনো সড়ক যোগাযোগ না থাকায় যাতায়াতের জন্য নৌপথই একমাত্র ভরসা। নৌপথ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করে আসছে এই দ্বীপের মানুষগুলো। এখানে নদীপথে চলাচলের জন্য রয়েছে সিট্রাক, ট্রলার ও স্পীডবোট। সিট্রাক বন্ধ করে একটি কুচক্রী মহল নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য ট্রলার চালু করে। ট্রলারের ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যেখানে সিট্রাকের ভাড়া ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

এছাড়াও চলছে স্পীডবোটের ভাড়ার প্রতিযোগিতা, চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা ঘাট পর্যন্ত সময় লাগে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট, ভাড়া ৫০০ টাকা। মাত্র ৩০ মিনিটের পথের ভাড়া ৫০০ টাকা কীভাবে হয়? এত অল্প সময়ের দূরত্বে এতো বেশি ভাড়া নেয়ার নজির বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। এর বাইরে এখানকার ঘাট কর্তৃপক্ষের অসদাচরণ তো আছেই। প্রশ্ন হচ্ছে, স্পীডবোটসহ ঘাট থেকে যে টিকিট দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়; সেই টিকিটের গায়ে টাকার পরিমাণ উল্লেখই থাকে না! বুঝাই যাচ্ছে, কোনো একটা জায়গায় সমস্যা আছে।

বাংলাদেশের অন্য কোথাও ভাড়ার নামে এই রকম রমরমা ব্যবসা আর চলে না। এভাবে হাতিয়ার মানুষের কাছ থেকে একটি কুচক্রী মহল কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতিবাদ করার সাহস পায় না হাতিয়াবাসী।

হাতিয়ার মানুষের এমন অসহনীয় দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

তরিকুল ইসলাম

হাতিয়া, নোয়াখালী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওহীদুল আলম : মানবতাবাদী চেতনার কবি
পরবর্তী নিবন্ধসৎ মানুষ হওয়ার শিক্ষা চাই