হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের চেংখালী খালের উপর পুননির্মিতব্য স্লুইসগেটের কাজ বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে গণজমায়েত ও এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে মেখল গড়দুয়ারা সচেতনতা নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে পুননির্মিতব্য স্লুইসগেট এলাকায় এ প্রতিবাদ সভা ও গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।
সচেতন নাগরিক পরিষদের সদস্য মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জির সভাপতিত্বে এবং সদস্য মোরশেদ ও দেলোয়ারের যৌথ সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গড়দুয়ারা সচেতনতা নাগরিক পরিষদের সদস্য সাংবাদিক খোরশেদ আলম শিমুল।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেখল ইউনিনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদুল আলম, মোহাম্মদ ইসমাঈল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম, শফিকুল ইসলাম ভুট্টো, হাসান মাস্টার, জি এম সাইফুল, গিয়াস উদ্দিন, রাশেদুল আলম, জসিম মেম্বার, আলমগীর সওদাগর, শাহ আলম মাস্টার প্রমুখসহ গড়দুয়ারা ও মেখল ইউনিয়নের শত শত জনসাধারণ।
জানা যায়, গড়দুয়ারা এলাকার স্লুইসগেটের পুননির্মাণ কাজ শুরু হয়ে প্রায় ৯০% কাজ সমাপ্ত হওয়ার পূর্বে হঠাৎ জনৈক রফিক ও মিনু আকতার নামের দুই ব্যক্তি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে উক্ত স্লুইসগেটের নির্মাণ কাজ গত ১৪ মে তারিখ থেকে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে উক্ত স্থানে স্লুইসগেট না থাকায় প্রতিদিনই হালদা নদী থেকে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। যার ফলে গড়দুয়ারা ও মেখল ইউনিয়ন সহ আশেপাশের লক্ষাদিক মানুষকে প্রতিদিনই সকাল বিকাল জোয়ারের পানির কারনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদী জলাবদ্ধতা, চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মৎস্য চাষীরা এবং বন্ধ রয়েছে কৃষিকাজও।
সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা আগামী ২৯ জুনের মধ্যে চেংখালি স্লুইসগেইটের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে এলাকার হাজারো মানুষের ঘর বাড়ি রক্ষায় ও স্থানীয় জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত কার্যকর ব্যাবস্তা নিতে সরকারের দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের প্রতি জোর দাবি জানান।অন্যথায় আগামী ৩০ জুন উপজেলা প্রশাসনের সামনে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে হালদা বেড়িবাঁধসংলগ্ন চেংখালী খালের স্লুইসগেটের মাঝখানের মাটি ধসে পড়ে স্লুইসগেটটি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে উপজেলার মেখল ও গড়দুয়ারা ইউনিয়নের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ১৯৮০ সালের দিকে স্থাপিত উপজেলার গড়দুয়ারা ও রাউজান উপজেলার পশ্চিম গহিরা অংকুরিঘোনা বেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে স্লুইসগেট হয়ে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়কে যাওয়ার সহজ মাধ্যম ছিল। যেখান থেকে উপজেলা সদরে যাতায়াতের পথও ছিল সহজ। ওই বেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেট ভেঙে হালদার শাখা খাল চেংখালী খালে তলিয়ে যাওয়ায় ওই সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে আছে।