হাইনরিশ রোরার: নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী

| সোমবার , ১৬ মে, ২০২২ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

হাইনরিশ রোরার। সুইজারল্যান্ডের নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী। রোরারের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৬ জুন সুইজারল্যান্ডের সেন্ট গ্যালেনে। জমজ বোনের জন্মের এক ঘণ্টা পর তার জন্ম হয়েছিল। ছোটবেলায় বেশ ভাবনাহীন ও নির্ঝঞ্জাট জীবন কাটিয়েছেন। ১৯৪৯ সালে তার পরিবার জুরিখে চলে আসার পর অবশ্য সেই জীবনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। ১৯৫১ সালে সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (ইটিএইচ) এ ভর্তি হন। সেখানে তার সহপাঠী ছিলেন ভোল্‌ফগাং পাউলি। রোরারের ডক্টোরাল গবেষণার বিষয় ছিল চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা আবেশিত অতিপরিবাহী ট্রানজিশনে অতিপরিবাহীর দৈর্ঘ্য পরিবর্তন পরিমাপ। এই গবেষণা প্রকল্পটি প্রথমে শুরু করেছিলেন জরগেন লাইকি ওলসেন। গবেষণা করতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন যে, পরিমাপের সব কাজ তাকে রাতের বেলা করতে হবে, যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। কারণ এ ধরনের পরিমাপ কম্পনের প্রতি খুব সংবেদনশীল ছিল। সুইস পর্বত পদাতিক বাহিনীতে যোগ দেয়ার মাধ্যমে তিনি সামরিক জীবনে প্রবেশ করেছিলেন। এ কারণে তার গবেষণায় ব্যাঘাত ঘটে। ১৯৬১ সালে রোজ-মেরি এগার কে বিয়ে করেন। মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এই ফাঁকে রোরার তার গবেষণার কাজও কিছুটা এগিয়ে নিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির রাটগার্স ইউনিভার্সিটিতে বার্নি সেরিনের সাথে তিনি ধরন-২ অতিপরিবাহীর তাপীয় পরিবাহিতা নিয়ে গবেষণা করেন। ১৯৬৩ সালে আইবিএম রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে যোগ দেন। এই গবেষণাগারের তার শাখার পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অ্যাম্ব্রুস স্পাইসার । আইবিএম এ কর্মজীবনের প্রথম কয়েক বছর পাল্‌স প্রদত্ত চৌম্বক ক্ষেত্রে চৌম্বক-রোধের সাথে কোন্ডো পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেন। এরপর চৌম্বক দশা চিত্র নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। এই গবেষণাই তাকে ক্রান্তীয় ঘটনার জগতে নিয়ে এসেছিল। ১৯৭৪ সালে নিজের কর্মস্থল থেকে শিক্ষাছুটি নিয়ে এক বছর ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, সান্টা বারবারাতে থাকেন। এ সময় নিউক্লীয় চৌম্বক রেজোন্যান্স নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। তার সহ-গবেষক ছিলেন ভিন্স জ্যাকারিনো এবং অ্যালান কিং। ১৯৮৬ সালে স্ক্যানিং টানেলিং অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নকশা প্রণয়নের জন্য তিনি গের্ড বিনিগের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালের ১৬ মে এ নোবেলবিজয়ী বিজ্ঞানী মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধগণপরিবহনে মহিলাযাত্রীদের প্রতি সম্মান প্রসঙ্গে