প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ‘সময়মতো’ উত্তর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। গতকাল পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একটা প্রক্রিয়া, তাই না? এই সপ্তাহান্তেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের দিক থেকে সময়মতো প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে। এটা বড়দিনের কার্ড বিনিময়ের মতো নয়। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সব বিষয় সম্পন্ন হয়েছে। সুতরাং সেই প্রক্রিয়াকে ক্রমান্বয়ে ঘটতে দিন। আমরা বাংলাদেশের সাথে কাজ করব, তথ্যটা বাংলাদেশ থেকেই এসেছিল। খবর বিডিনিউজের।
পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিভিন্ন সম্পত্তিতে অভিযান চালানোর কথা শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দ্বিতীয় দফায় গতকাল তাকে আরো ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার মধ্যে ভারত সরকারের তরফ থেকে প্রথমবার কোনো বক্তব্য দিলেন হাই কমিশনার দোরাইস্বামী।
বাংলাদেশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের সরকার অপর দিকের এজেন্সিগুলোর সাথে তথ্য বিনিময় করেছে। এজেন্সি তথ্য যাচাই–বাছাই করেছে এবং পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন একটি আইনি প্রক্রিয়া আছে, যা অনুসরণ করতে হবে। সুতরাং সেটাই ঘটবে। আর সেটা অসাধারণ কোনো ঘটনা নয়। সংঘবদ্ধ অপরাধ ও ব্যক্তিগত অপরাধীদের বিষয়ে ভারত–বাংলাদেশের সহযোগিতার স্বাভাবিক বিষয় এটা। এটা দুই দেশের সরকারের স্বাভাবিক সহযোগিতার অংশ জানিয়ে তিনি বলেন, দুই প্রান্তের অপরাধ নিয়ে কাজ করার জন্য আইনি সহযোগিতা কার্যক্রমসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দুদেশের মধ্যে রয়েছে।