হলে খাবারের মান বৃদ্ধি করা হোক

| শনিবার , ৪ মার্চ, ২০২৩ at ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার খ্যাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আয়তনে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। শহরের যান্ত্রিক কোলাহল থেকে প্রায় ২২ কি.মি. দূরে প্রকৃতির কোল ঘেঁষে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অবস্থান করছে। শহর থেকে দূরবর্তী হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী হল এবং বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াতে মেস ও কটেজে থাকেন। এ সকল শিক্ষার্থী খাবারের জন্য হল, ডাইনিং ও ক্যান্টিনের উপর নির্ভরশীল। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির অযুহাতে ক্রমাগত খাবারের দাম বৃদ্ধি

 

পাচ্ছে, পাশাপাশি খাবারের মান তলানিতে ঠেকছে। মুরগি (ব্রয়লার) ও মাছ কাঁটার ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে যত বেশি টুকরা করা যায়। প্রদত্ত গোশত বা মাছের টুকরো খোঁজার জন্য শিক্ষার্থীদের রীতিমত ঝোলের ভিতর ডুবুরির ভূমিকা পালন করতে হয়। আর সেটি রান্না হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন একই রকম সবজি দিয়ে।

গরম পানির সাথে হলুদ মিশিয়ে কথিত ডাল দেওয়া হয়। ভাত হয় মোটা চালের, সেটিও বাজারের সবচেয়ে নিম্নমানের। এসব মানহীন খাবার খাওয়ার উপযুক্ত না, তবে বেঁচে থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে খেতে হয়। মানহীন এসব খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় পেটব্যথা, ডায়েরিয়া ও গ্যাস্ট্রিকসহ

অপুষ্টিজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়। যার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। সমস্যা বহুদিনের হলেও দেখার কেউ নেই। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় হলে খাবারের মান বৃদ্ধি করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মো. নাইমুর রহমান শাওন

লেখক : সদস্য

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম,

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর : সাহিত্য শিল্প ও সংস্কৃতিতে স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব
পরবর্তী নিবন্ধক্ষমতা, ক্ষমতার ব্যবহার ও ক্ষমতার ভালো মন্দ