পটিয়ায় স্ত্রী ও পুত্রের হাতে আলমগীর নামের পক্ষাঘাতগ্রস্ত এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়েরের ৪ মাস পর ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে পটিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজের উপস্থিতিতে পটিয়া থানা পুলিশ তার লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। জানা গেছে, মোহাম্মদ আলমগীর নামের ওই ব্যক্তিকে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু প্রচার করে স্ত্রী শাহিদা আকতার (৩৭) ও পুত্র খোরশেদ আলম (২৪) দাফনের চেষ্টা করেন। কিন্তু দাফনের আগে গোসলের সময় লোকজন মৃতের গলায় ফাঁস ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখতে পান। এ সময় তারা তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে। উপজেলার হাইদগাঁও রাজঘাটা ব্রিজের পাশে বৈদ্য পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রী ও পুত্র তাদের আত্বীয় স্বজন আসার আগেই নিহতের লাশ তড়িঘড়ি করে দাফন করে ফেলে। পরে নিহতের বোন ছেনেয়ারা বেগম মৃতের গলা ও শরীরে জখমের চিহ্নের ছবি লোকজনের কাছ থেকে পাওয়ার পর তা দেখিয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর তার ভাইকে হত্যার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
আদালতের বিচারক বেগম তররাহুম আহমেদের আদেশে পটিয়া থানা নিয়মিত মামলা রজু করেন। ঘটনার প্রায় চার মাস পর গতকাল সোমবার দুপুরে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। বাদি পক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দীন বলেন, নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রায় ৪ মাস পর নিহত আলগীরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।