হতাশায় ও কাব্য বাঁচুক

দীপান্বিতা চৌধুরী | রবিবার , ২০ নভেম্বর, ২০২২ at ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ

আমার কবিতা কি থাকবে? আপনার কবিতা কি থাকবে? নাকি পচা পাতার মতো মাটিতে মিশে যাবে মাটিরই অংশ হয়ে? রবীন্দ্রনাথও জানতেন না তাঁর কবিতা থাকবে কি না। আশাটুকু করেছিলেন শতবর্ষ পেরিয়েও এক পাঠিকা তাঁর কবিতার লাইনগুলো আওড়াচ্ছে। তবে, কোনটা থাকবে সেটা যেমন বলা যায় না, থাকবে না সেটাও বলা যায় না। লিখে যাওয়া যায় হয়তো। আর লেখনী হলো একটা দীর্ঘ জার্নি। যার জন্য একটা ঠিকানা লাগে। কাল্পনিক বা বাস্তবিক।

সেটাকে কেউ যদি অমরত্ব সাব্যস্ত করে, তাহলে তাকে উপহাস না করে, প্রশ্রয় দেওয়া ভাল। লোক মৃত্যুর পরে নিজের জমিজিরাতের কী হবে সে নিয়ে ভাবে, ছেলেমেয়ের জন্য কিছু রেখে যেতে চায়। নিজের সব উজাড় করে লেখা কবিতার ব্যাপারেও সে না হয় একটু স্বপ্ন দেখল, একটা ইচ্ছাপত্র পেশ করল যা মহাকালের আদালতে খারিজ হয়ে গেলেও সে জানতে পাবে না।

তবুও স্বপ্নটুকু বুকে নিয়ে যাবে এই আমার কবিতাগুলো বাঁচবে, এটাই একজন কবির প্রাপ্য। এই প্রাপ্যটুকুর জন্যই কবি কলমকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। লেখালেখি বা সাহিত্যজগত বা কবিতায় কিছু কাজ করার পরেই আসে হতাশা। প্রথমে মন বলে ওঠে, শুধু লেখালেখি নিয়েই বাঁচি, কিন্তুু ঠিক কিছু কাজ করার পরেই মন আবার বলে উঠে লেখালেখি করাটা কি আদৌ দরকার? আপনি লেখালেখি ছেড়ে দিলে কারও কিচ্ছুটি যায় আসে? ভাবতে হবে,আপনার হাতেই জন্ম নেবে আরও নতুন নতুন লেখা। যত হতাশ হবেন, ততই শক্ত করতে হবে আপনার কলমের শব্দ। বুক থেকে খসে যাবে অমঙ্গলের চাঙর। জ্বলে উঠবে মঙ্গলপ্রদীপ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বকাপ
পরবর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে