হজে যেতে পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে যে পর্যন্ত

| রবিবার , ১ মে, ২০২২ at ৭:২০ পূর্বাহ্ণ

এবার হজ করতে যেতে আগ্রহীদের পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। গতকাল শনিবার হজযাত্রীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত নিয়মে এমন পরিবর্তন এনে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনায় যেসব হজযাত্রীর পাসপোর্ট নেই বা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের জরুরিভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে বলা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৯ জুলাই সৌদি আরবে হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ৩১ মে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন বলে এরই মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

গতকালের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুকদের পাসপোর্টের মেয়াদ যাচাই করে কমপক্ষে ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদযুক্ত পাসপোর্ট প্রস্তুত রাখতে হবে।

এর আগে শুক্রবার আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিতরা যারা এ বছর হজে যাবার সুযোগ পাবেন তাদের জন্ম হতে হবে ১ জুলাই ১৯৫৭ এবং এর পরে। এছাড়া হজ ২০২২ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যেতে আগ্রহীদের জন্য কোভিড১৯ সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ জরুরি এসব নির্দেশনা পালন বাধ্যতামূলক করেছে।

নির্দেশনাগুলো হলো : সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দ্বারা অনুমোদিত কোভিড টিকার দুই ডোজ এবং ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ গ্রহণের সনদ হজের পুরো সফরে ব্যবহারের লক্ষ্যে একাধিক কপি বা আইডি কার্ড আকারে লেমিনেট কপি হজযাত্রীকে প্রস্তুত রাখতে হবে। নিবন্ধন ব্যতিত কোডিড টিকা নিয়ে থাকলে অথবা সুরক্ষা অ্যাপে টিকা নেওয়ার তথ্য আপডেট নেই এমন হজযাত্রীকে টিকা গ্রহণের তথ্য সুরক্ষা অ্যাপে অন্তর্ভুক্তি করে টিকার সনদ গ্রহণ করতে হবে। অর্থ্যাৎ টিকা গ্রহণ করলেই চলবে না টিকা গ্রহণের সনদ অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে। হজে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ সঙ্গে নিতে হবে। সকল স্থানে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

এর আগে শুক্রবার হজযাত্রী হিসেবে এবার কারা যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং তাদের করণীয় সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, ২০২০ সালে নিবন্ধিত যাদের জন্ম তারিখ ১৯৫৭ সালের ৩০ জুনের আগে কিংবা ওই সময়ে নিবন্ধন সম্পন্নের পর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউ হজে যেতে অগ্রাধিকার পাবেন। এক্ষেত্রে বদলি হজযাত্রীকে পাসপোর্টসহ অবিলম্বে (সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে) পরিচালক, হজ অফিস, ঢাকা বরাবর আবেদন করতে হবে। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিজ হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই প্রস্তাবিত ব্যক্তির প্রাক নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঈদের ছুটিতে চালু থাকবে বন্দর ও কাস্টমস
পরবর্তী নিবন্ধ‘পাহাড়ি জমি দখলে নিতে’ জুমের বাগানে আগুন