চট্টগ্রাম শহরের অনেক স্থাপনা অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এছাড়া ফুটপাতে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ হকারদের দৌরাত্ম্য। ফুটপাত পথচারীদের চলাচলের পথ। সেখানে হকার বসার কারণে পথচারীদের বাধ্য হয়ে সড়কের পাশ ধরে হাঁটতে হচ্ছে। তাই দেখা যাচ্ছে, আমাদের দেশে সড়ক প্রশস্ত করার পরেও তার এক চতুর্থাংশ হকারদের দখলে চলে যায়। নতুন মেয়র বিষয়গুলো নিয়ে ভাববেন আশা করি। দখলের কারণে সড়ক সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় যানজট লেগেই থাকে। ফলে রাস্তাতেই কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে অপচয় হয় মূল্যবান কর্মঘণ্টা। তাই নগরবাসীর কর্মঘণ্ট সাশ্রয়ে নতুন মেয়রের কাছে প্রত্যাশা থাকবে, ভ্রাম্যমাণ হকারদের তালিকা করে তাদের অন্যত্র পুনবার্সন করে, পথচারীদের চলাচলের নিরাপত্তা সুরক্ষার পাশাপাশি যানজট লাঘবেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন। মেয়র নগরপিতা, তাই নগরবাসীর বিভিন্ন সমস্যায় তিনিই সকলের ভরসাস্থল। আমি নিজে যেহেতু একজন চিকিৎসক তাই বলতে হচ্ছে, চিকিৎসকদের কাজ সেবামূলক। মাঝে মাঝে সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসকদেরকে রোগীর স্বজনদের তোপের মুখে পড়তে হয়। যা অনাকাক্সিখত এবং অত্যন্ত দুঃখজনক। নগরীর চিকিৎসকদের সুরক্ষায়, ও নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নতুন মেয়র সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিবেন আশা করি, কারণ সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসকের শারীরিক লাঞ্ছনা জাতির জন্য লজ্জাজনক। একই সাথে করোনা মহামারী মোকাবিলায় এবং সকলের ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে সচেষ্ট থাকবেন, নতুন মেয়রের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।