সড়ক খুঁড়ে উধাও ঠিকাদার দুর্ভোগে এলাকাবাসী

সীতাকুণ্ডের পূর্ব বাকখালী সংযোগ সড়ক

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | রবিবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক খুঁড়ে নির্মাণকাজ ফেলে উধাও হয়ে গেছে ঠিকাদার। দীর্ঘ দেড় বছর আগের এমন ঘটনার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এলজিআরডি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান একে অপরকে দোষারোপ করলেও জনদুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব বাকখালী শেখের হাট-হাজারী হাট সংযোগ সড়কটি বাকখালী খালের দুপারের মানুষদের চলাচলের একমাত্র ভরসা। এ সড়কটি উপজেলা সদরে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যমও। কিন্তু যুগের পর যুগ এ সড়কের বেহাল দশায় এখানকার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সড়কটির টেন্ডার হলেও সড়ক খুঁড়ে চলাচলের অনুপযোগী করে পালিয়ে যায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইমপ্লাস ট্রেডার্স। এরপর প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কটির উন্নয়ন না হওয়ায় দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে নানাভাবে চেষ্টা করে ইমপ্লাস ট্রেডার্সের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও উপ-ঠিকাদার মো. জাফর আহমেদ আজাদীকে বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অসহযোগিতার কারণে কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি।
এদিকে সীতাকুণ্ড উপজেলা এলজিআরডি সদ্য বিদায়ী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম আজাদীকে জানান, সড়কটির টেন্ডার পেয়েছিলো ইমপ্লাস ট্রেডার্স ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ব্যর্থতার দায়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী জিকুর ঠিকাদারি লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানা করা হয়েছে। সড়কটি পুনরায় টেন্ডার হবে, ভালো মানের ঠিকাদার পেলে টেন্ডার দেওয়া হবে। এসময় তিনি বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়কটির কাজ শুরু হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
৪ নং ওয়ার্ডের বাকখালী গ্রামের বাসিন্দা শেখ রাসেল বলেন, বহু যুগ ধরে কাঁচা মাটির সড়ক এটি। টেন্ডার হওয়ার পর ঠিকাদার সড়ক খুঁড়ে চলাচলের অযোগ্য করে দিয়ে চলে যায়। এখন সড়কে চলাচল করতে গিয়ে চরম অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। আশা করছি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বর্ষা মৌসুমের আগেই সড়ক নির্মাণ করে আমাদের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে। সড়কের বিষয়ে সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেন আজাদীকে বলেন, রাস্তার কাজ নির্দিষ্ট মেয়াদে শেষ করতে না পারায় ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে গেছে। এসময় নিজেও দুর্ভোগে পড়ার কথা উল্লেখ করে সড়কটির বিষয়ে পুরোপুরি অবগত নন বলে জানান তিনি। অন্যদিকে সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচএম তাজুল ইসলাম নিজামী বলেন, সড়কটির টেন্ডার হওয়ার পর কাজ শুরু হয়েছিলো। কিন্তু কাজ অসম্পূর্ণ রেখে ঠিকাদার চলে যায়। এখন পুনরায় টেন্ডারের পথে সড়কটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইয়ের লড়াই
পরবর্তী নিবন্ধবিমানের কাছে বেবিচকের পাওনা ৩ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা