সড়ক উন্নয়নে অবদান রাখছে বে-টার্মিনাল অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন

বেসরকারি খাতে প্রথম বিটুমিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান

| রবিবার , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

বে-টার্মিনাল অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিডিসিএল)। পিএইচপি ফ্যামিলির একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। সড়ক-মহাসড়ক, বিমানবন্দরের রানওয়ের নির্মাণ কাজে আমদানিকৃত তরল (বাল্ক) বিটুমিন ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। অত্যন্ত সুনামের সাথে প্রায় ২ যুগ ধরে দেশে বিটুমিনের মোট চাহিদার বড় একটি অংশের যোগান দিচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান।
দেশের বেসরকারি খাতের প্রথম এই বিটুমিন প্ল্যান্টের পণ্য পরিবেশ বান্ধব এবং অর্থ সাশ্রয়ী। মূলত বে-টার্মিনালের হাত ধরেই বাংলাদেশের সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে তরল (বাল্ক) বিটুমিন ব্যবহারের সংস্কৃতি চালু হয়। অর্থাৎ গুণগত মানের এবং পরিবেশ বান্ধব বিটুমিন ব্যবহারের পথিকৃৎ এ প্রতিষ্ঠান। বর্তমানেও দেশের সড়ক উন্নয়নে মানসম্পন্ন বিটুমিন সরবরাহ করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
জানা গেছে, প্রথমদিকে এটি আমেরিকান-বাংলাদেশ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। চীনের বিখ্যাত কোম্পানি ‘সিনোপ্যাক’ প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং নির্মাণে নিযুক্ত ছিল। প্ল্যান্টের ড্রয়িং ও লে-আউট আমেরিকান পার্টনার সরবরাহ করে। তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ, জনবল প্রশিক্ষণসহ গুরুত্বপূর্ণ মূলধনী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে। শুরু থেকেই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এ প্রতিষ্ঠান ধারাবাহিকভাবে গুণগত মান বজায় রেখে পরিচালন ও সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বে-টার্মিনাল সবসময় উন্নত মানের বিটুমিন সরবরাহে প্রতিশ্রুতবদ্ধ। পণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ ও পরিচালনার বিভিন্ন ধাপে পরীক্ষা করা হয়। বে-টার্মিনাল স্টোরেজ ট্যাংকে পণ্য গ্রহণের আগে নমুনা সংগ্রহ করে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) অথবা বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে বে-টার্মিনালের নিজস্ব ল্যাবে নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়। ল্যাব টেস্টে সব প্যারামিটার বিবেচনায় সঠিক মান পাওয়ায় পণ্য খালাসের অনুমতি দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আমদানিকৃত বিটুমিন তদারকের দায়িত্বে আছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী বৈধভাবে আমদানির প্রয়োজনীয় দলিলাদি এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি ল্যাবের টেস্ট রিপোর্টে সঠিক মান পাওয়া গেলে শুল্ককর আদায় করে আমরা পণ্য খালাস দিয়ে থাকি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্তমান সরকার প্রত্যেক ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী
পরবর্তী নিবন্ধযাত্রীর চুরি হওয়া ব্যাগ উদ্ধার করলো রেলওয়ে পুলিশ