বর্তমানে শিক্ষার রূপ ও প্রকৃতি বদলেছে। শিক্ষা নিয়ে মানুষের ধারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গতানুগতিক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে কেন মানুষকে নিরস্ত রাখতে পারছে না? কেন এই শিক্ষা আমাদের উচ্চায়ত মূল্যবোধ সম্পন্ন মানবিক মানুষ বানাতে পারছে না? শিক্ষার পরিসর বৃদ্ধির সাথে সাথে আবিলতা–ও সমাজে সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষে–মানুষে ভেদাভেদ, হিংস্রতা, লোভ–লালসা ও প্রতারণা বর্তমানে অতীতের তুলনায় অধিক দৃশ্যমান হয়। শিক্ষার হারে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে বটে। কিন্তু, তা একটি সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে অন্যায়ের সাথে আপোষহীন মানুষ তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। গতানুগতিক মুখস্থ নির্ভর বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার চেয়ে সৎ ও মানবিক মানুষ হওয়ার শিক্ষাই এখন বেশি জরুরি। একসময় বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক পেছনে ছিল। ধীরে ধীরে আমরা সব সূচকে উন্নতি করছি। অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। দেশে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিক্ষার হার ও ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু এখনও পত্রিকার পাতায় যাবতীয় অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও অসততার সংবাদ নিয়মিত উঠে আসে।
একজন নৈতিক, আদর্শিক ও মানবিক শিক্ষায় শিক্ষিত নাগরিকের পক্ষে কখনো নৈতিকতা বিবর্জিত ও দেশের জন্য অকল্যাণকর এমন কাজ করা সম্ভব নয়। এজন্য একটি উন্নত, মানবিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হলে সেরূপ নৈতিক, আদর্শিক ও স্মার্ট মানুষ তৈরি করতে হবে। তার জন্য নাগরিকদের মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে যা নাগরিকদের সততা ও আদর্শিকতার পথে চালিত করবে। দেশপ্রেমের মহান অগ্নি মন্ত্রে উজ্জীবিত রাখবে। তাহলেই স্বপ্নের উন্নত–আধুনিক রাষ্ট্রের ধারণা পরিপূর্ণতা ও সফলতার মুখ দেখবে।