প্রান্ত পলাশের কবিতা

| শুক্রবার , ১১ জুলাই, ২০২৫ at ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

স্লতসকুগেনের হ্রদে

কোথাও হয়তো যাব

হেন মেঘরোদ্দুরে এই প্রশ্ন কেন?

ধীরে ধীরে বহি আমি যমুনার মতো

ধীরে ধীরে ধী হচ্ছে বধিরসংযত

হেন বাসুদেবকালে এউত্তর কেন?

ক্রমশ সময় ধায়, বিজলিবর্ষায়

দেবকীর পুত্রঘাতী নিপুণ বর্শায়

এখন মলিন বক পাথুরে পাহাড়ে

অচেনা হরিণে

বরফবৃষ্টির দিনে যেপথ পিচ্ছিল

বসনহরণে

তবু কি গাইছি গান মুনির আশ্রমে

প্রথম দুপুরক্রীড়া অযথা বিভ্রমে?

তুমি সম্রাজ্ঞী, পাথর ও জীবন থেকে ফটোগ্রাফ নিয়ে

ছুড়ে দাও ঝরাপাতা পতনের শব্দ না শুনেই

তোমার তুমিকে তুমি বুঝে ওঠার আগেই

করলডেঙার জবা ফুটছে নির্বিঘ্নে

খাঁচা থেকে বের হলে পরে

পাখি কি সেখাঁচা ভুলে যেতে পারে?

.

আলো আর অন্ধকার বসে আছে মোহনদীতীরে

মিডসামারের রোদে এখন যৌবনা ছোটছোট ঘাসফুল

ওক গাছের ছায়ায়

শিশুর হলুদ ট্রেন ছুটছে নির্ভুল

নিবিড় আনন্দঘন বংশলতিকায়

হোনোর শরীরজুড়ে একটু বরফ

হোনোর পালকজুড়ে একটু শাদাটে

লাল পায়ে স্মৃতিগন্ধ উড়ে যায়

পাথরতৃণের এই মেলবন্ধ দেখে

পরবাসী অদীর্ঘ চাঁদের

রং হতেছে ঘোলাটে

নির্মোহ হ্রদ তীরে, ট্রাউটশরীরে

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুম’আর খুতবা
পরবর্তী নিবন্ধকাঁচাঘর