অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম গতকাল সোমবার শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই রুবেল শেখ আবদুল মালেককে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু দুই মামলাতেই সাত দিন করে ১৪ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। খবর বিডিনিউজের।
অন্যদিকে আসামিপক্ষে জিএম মিজানুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসা করা হোক। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেয়। এর আগে আব্দুল মালেককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতাকাল তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন। সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের নোটিশ : এদিকে স্বাস্থ্য খাতের নানাজনের বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়ার অভিযোগের মধ্যে ১২ কর্মচারীর সম্পদের তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে সম্পদ বিবরণি দাখিল করতে তাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য। সরকারি ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের স্ত্রীসহ মোট ২০ জনের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যাদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই শাখার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মজিবুল হক মুন্সি, তার স্ত্রী রিফাত আক্তার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া, তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার, গাড়িচালক মো. আব্দুল মালেক, তার স্ত্রী নার্গিস বেগম, গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওবাইদুর রহমান, তার স্ত্রী বিলকিচ রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের স্টাফ নার্স রেহেনা আক্তার, রংপুর মেডিকের কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মো. ইমদাদুল হক, তার স্ত্রী উম্মে রুমান ফেন্সি। এছাড়াও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. মাহমুদুজ্জামান, তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন, তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ বিভাগের অফিস সহকারী কামরুল হাসান, তার স্ত্রী ডা. উম্মে হাবিবা, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল ইসলাম, বরিশাল বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মীর রায়হান আলী এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।