ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের দায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক লাইন ডিরেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম খানকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। খবর বিডিনিউজের।
আদালতের পেশকার শরীফুল ইসলাম জানান, কারাদণ্ডের পাশাপাশি পলাতক এ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিচারক তাকে সাজা না দিয়ে আত্মসাৎ করা ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৮ টাকা জরিমানা করেন। অসাধু উপায়ে অর্জিত এ অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আসামি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে কার্যাদেশ প্রদান করে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কোনো কাজ না করে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৭৮ টাকার আত্মসাৎ করেন আনোয়ারুল। এ ঘটনায় দুদকের উপ পরিচালক এ কে এম বজলুর রশীদ ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রমনা থানায় ছয় জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বাদে মামলার অপর আসামিরা ছিলেন তৎকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অফিসার ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আবু হানিফা, সহকারী প্রধান (কারিগরি ও সহায়তা) শরিফুল ইসলাম ও মোখলেছুর রহমান, অফিস সহকারী রশিদুল ইসলাম ও এমবি এন্টারপ্রাইজের মালিক মনিরুজ্জামান।
তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৮ জুন আনোয়ারুল ইসলাম ও মনিরুজ্জামানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কমিশনের উপ সহকারী পরিচালক আজিজুল হক। অপর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়। পরে তাদের অব্যাহতি দিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। মামলার বিচার চলাকালে মনিরুজ্জামান মারা যান বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য নিয়ে বিচারক এ রায় দেন।