চার অক্ষরের একটি শব্দ ‘স্বাধীনতা’। শাব্দিক অর্থ মুক্তি।এটি মানুষের জন্মগত অধিকার। প্রত্যেক মানবের জীবনে এই শব্দটি ভীষণ আবেগ ও ভালোবাসার নাম। স্বাধীনতা না থাকলে কোন দেশ, কোন জাতির উন্নতি হয় না, প্রকৃত ভাবে প্রস্ফুটিত হতে পারে না। শুধু মানব জীবন কেন সৃষ্টির সকল কিছুরই নিজস্ব পরিচয়, নিজস্ব স্বাধীনতা, নিজস্ব গতিপথ আছে। তার উপর কেউ হস্তক্ষেপ করলে বা ছন্দ পতন হলে সেই স্বাধীনতা ঝরা পাতার মত রংহীন হয়ে যায়।
বাংলাদেশ আজ স্বাধীন একটি রাষ্ট্র। যার নিজস্ব একটি ভূখণ্ড আছে, ভাষা আছে, আছে নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এর অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় দেশের স্বাধীনতা কিন্তু খুব সহজে আসেনি। বহু বছর ধরে নির্যাতন, নিপীড়িত হয়ে আসা বাঙালিকে স্বাধীনতার জন্য দিতে হয়েছে অনেক রক্ত, অনেক আত্মত্যাগ ও বলিদান। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ এর ভাষণে আপামর জনগণকে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেছিলেন। জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য। দেশকে মুক্ত করার জন্য সকলকে সাহস ও স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। ২৫ শে মার্চের রাতে পাকিস্তানি বাহিনীরা নির্বিচারে নিরীহ, নিরস্ত্র, ঘুমন্ত বাঙালিদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। অপরদিকে সেই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় শেখ মুজিবকে। ২৬ শে মার্চ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এম. এ. হান্নান পাঠ করেন বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাপত্র। এরপর আর নয় অপেক্ষা, এবার যুদ্ধ হবে সামনাসামনি। আর কোন অত্যাচার সহ্য করা হবে না। বাঙালিরা ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধে। ঘরে ঘরে তারা দুর্গ গড়ে তোলে,যার যা কিছু আছে, যে যেখানে আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উপহার দিয়ে যায় লাল সবুজের স্বাধীন একটি রাষ্ট্র, একটি সার্বভৌম দেশ,বাংলাদেশ। যেখানে সূর্য উঠে হেসে, পাখি গান গায় আপন সুরে।