স্বাধীনতা অর্জনই এদেশের সবচেয়ে বড় ঘটনা

কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম | শনিবার , ২৬ মার্চ, ২০২২ at ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

২৬ মার্চ, ২০২২। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ১৯৭১ সালের এই দিনেই দেশ স্বাধীন করবার জন্য শুরু হয় আনুষ্ঠানিক মুক্তি সংগ্রাম। পাকিস্তানের শোষণ, নিপীড়নের বিরুদ্ধে এ দেশের আপামর জনতার এই আত্মত্যাগ ইতিহাসে অমলিন, অক্ষয় থেকে যাবে। এ দেশে যতকিছু হয়েছে তার মধ্যে এই স্বাধীনতা অর্জনই সবচেয়ে বড় ও বিস্ময়কর ঘটনা।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ স্বাধীনতা অর্জনে কষ্ট করেছে, সংগ্রাম করেছে। আমরাও ১৯৭১ সালে সুদীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের কাছ থেকে পেয়েছি স্বাধীনতা। মুক্তির উল্লাসে মেতেছিল এ দেশের কোটি কোটি জনতা। আসলে স্বাধীনতা এমনই। আমরা অল্প সময়ে যেভাবে সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল একটি ঘটনা।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র জন্মের পর নিজের ভাষায় কথা বলা, মুক্তভাবে চলাফেরা, চাকরি-বাকরিতে নিজেদের লোক নিয়োগ, পারস্পরিক আবেগ-অনূভূতি প্রকাশ, পারস্পরিক সৌহার্দ প্রকাশ, ভোটাধিকার প্রয়োগ, স্বাধীন মত প্রকাশসহ সবক্ষেত্রে স্বাধীনতার সুফল পরিলক্ষিত হয়। যদিও নানা সময় মানুষের অধিকারকে হরণ করার চেষ্টা হয়। এরপরও এই যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি কষ্ট করে তা ধরে রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। স্বাধীনতার যে লক্ষ্য ছিল তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। কদিন পরেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু , ঢাকার মেট্রোরেলের কাজ শেষের দিকে। সড়ক-মহাসড়কে চলছে সংষ্কার ও উন্নয়ন। উন্নয়নের সেই সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। দারিদ্র বিমোচনের জন্য নিতে হবে মহা পরিকল্পনা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে খবর নিলে বহু দরিদ্র মানুষের খোঁজ পাওয়া যাবে। হয়তো যাদের পাশে কেউ নেই। দুঃখ, কষ্টে জীবন চলছে। মানুষের দরিদ্রাবস্থা দূর করতে না পারলে সেটা হবে খুবই দুঃখজনক।
দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনা ও তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় রাখতে হবে। দেশের স্বাধীনতার ভিত মজবুত করতে হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার অন্য কোন অপশন নেই। সবাই মিলে দেশটাকে গড়ে তুলি নিজেদের মতো করে। স্বাধীনতার সুফল পরিপূর্ণভাবে পেতে হলে এর কোন বিকল্প নেই। স্বাধীনতার এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে একটি সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি এবং এজন্য সংকল্প নিতে হবে। দেশের মানুষের আশা, আকাঙ্ক্ষা পূরণে এগিয়ে যেতে হবে দৃঢ়চিত্তে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বাধীন বাংলাদেশের সূচনা
পরবর্তী নিবন্ধবাংলা স্বাধীনতা